মাল্টি ভিটামিন খেতে হয়? আর খেতে হবে না। পয়সাও বাঁচবে, জিভেরও স্বাদ বাড়বে। যদি হাতের কাছেই থাকে উত্তম বিকল্প। হাতের কাছেই সব সময় পাওয়া যায় এই ফল। কাঁঠাল। কাঁঠালের বীজ শরীরের নানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
করোনা পরবর্তী পর্যায়ে মাল্টি ভিটামিনের চাহিদা এখন খুব বেশি। তাছাড়াও চিকিৎসকরা বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে তা খেতে বলেন। কিন্তু যদি ওষুধ ছাড়াই সমস্যা সমাধান হয় তাহলে আর চিন্তা কী? ভিটামিন ট্যাবলেট আর খেতে হবে না, যদি রোজকার খাবারে কাঁঠালের বীজ রাখেন। মিলবে সঠিকভাবে প্রাকৃতিক ভিটামিন ও ইমিউনিটি।
বাঙালির প্রিয় কাঁঠাল এবং তার বীজে রয়েছে বিকল্প ভিটামিন। মিষ্টি কাঁঠাল হলে ভাল,না হলেও কোনও ক্ষতি নেই। তার যা উপকার তা ভাবতে পারবেন না।
কাঁঠালে ও বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও পটাসিয়াম। এই ফল গরমে শরীর সুস্থ রাখার পক্ষে একেবারে আদর্শ। তবে শুধু ফলেই নয়, গুণ রয়েছে ফলের বীজেও।
কাঁঠালের বীজের উপকারিতা জানলে আর কোনওদিন সেটিকে ফেলে দেওয়ার কথা মাথাতেও আনবেন না। কাঁঠালের বীজ থেকে সহজেই বাড়ানো যায় শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি নয় কাঁঠালের বীজে আছে আরও অনেক গুণাগুণ। এটি অ্যানিমিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু। রোজ মেনুতে কাঁঠালের বীজ রাখলে আপনার শরীরের আয়রনের মাত্রা বাড়বে।
এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। কাঁঠালের বীজ হিমোগ্লোবিনের একটি উপাদান। ফলে এটি খেলে অ্যানিমিয়া দূরে হঠবে। আয়রন সুস্থ রাখবে আপনার মস্তিষ্ক ও হার্টকেও। স্বাস্থ্যকর চুল ও ভালো দৃষ্টিশক্তি কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বদহজম রোধে খুবই কার্যকরী কাঁঠালের বীজ । এটি রোদে শুকিয়ে গ্রাইন্ড করে পাউডারের মতো করে ফেলুন। বদহজমে সহজ হোমমেড রেমেডি হতে পারে এই পাউডার। এতকিছু না করে শুধু কাঁঠালের বীজ খেলে কমবে কনস্টিপেশনের সমস্যা। কারণ প্রচুর ফাইবার থাকে কাঁঠালের বীজে।
এটি রাতকানা রোগে অব্যর্থ ওষুধের কাজ করে।শুখু চোখ নয়, চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে ভিটামিন এ। চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে এই ভিটামিন। হজমশক্তি বাড়ায়।
কাঁঠালের বিচি মানসিক চাপ কমায়, ত্বকের রোগ সারায় কাঁঠালের বীজ প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে ঠাসা। স্ট্রেস কমাতে বিশেষ কার্যকরী। এটি ত্বকের নানা রোগও সারায়। ত্বকে ময়েশ্চারের মাত্রা বেশি রাখতে ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খাওয়া ভালো।