Advertisement

লাইফস্টাইল

রাতে বারবার প্রস্রাব হয়? বিশিষ্ট ডাক্তার জানালেন কন্ট্রোলের উপায়

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • 06 Nov 2025,
  • Updated 4:08 PM IST
  • 1/10

রাতে মাঝে মাঝে প্রস্রাবের জন্য ঘুম ভেঙে যায় অনেকেরই। যদি এমটা ঘনঘন ঘটে, তাহলে তা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, নকটুরিয়া অর্থাৎ রাতে একাধিকবার প্রস্রাবের জন্য জেগে ওঠা কোনও রোগ নয়, বরং এটি শরীরে অন্য কোনও অন্তর্নিহিত সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
 

  • 2/10

কানাকাপুরা রোডের মনিপাল হাসপাতালের ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা: রবিশঙ্কর জেসি-র মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক ক্ষমতা পরিবর্তিত হয়। ঘুমের সময়ে প্রস্রাবের পরিমাণ কমাতে সাহায্যকারী অ্যান্টিডাইইউরেটিক হরমোনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যায়।

  • 3/10

 একই সঙ্গে গর্ভাবস্থায়, সন্তান জন্মদানের সময়ে অথবা বার্ধক্যের কারণে মূত্রথলির (ব্লাডার) পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, যার ফলে প্রস্রাব ধারণক্ষমতা কমে যায়। এটি যদিও সামান্য অসুবিধা বলে মনে হতে পারে, কিন্তু রাতে ঘনঘন বাথরুমে যাওয়া ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে। তাই নকটুরিয়ার কারণগুলি বোঝা এবং কীভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • 4/10

ঘনঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব করার পিছনে দু'টি প্রধান কারণ রয়েছে। এক, শরীর রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব তৈরি করছে; দুই, মূত্রথলি আগের মতো পরিমাণ ধরে রাখতে পারছে না। অনেক সময় এই দু'টি কারণই একসঙ্গে ঘটে।

  • 5/10

বয়স এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আরও কিছু শারীরিক সমস্যা এই অবস্থার জন্য দায়ী হতে পারে। ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মূত্রনালির সংক্রমণ, পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া এবং হার্ট বা কিডনির রোগ। এমনকী গর্ভাবস্থায়, বেড়ে ওঠা গর্ভাশয়ের চাপে রাতের সময় প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

  • 6/10

আরও একটি কারণ হল স্লিপ অ্যাপনিয়া। যেখানে ঘুমের সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাস বারবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থা শরীরের প্রস্রাব উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটাতে পারে। ফলে রাতে ঘনঘন বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। 

  • 7/10

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, যদি আপনি রাতে দু'বারের বেশি প্রস্রাবের জন্য ওঠেন, অথবা প্রস্রাবে ব্যথা, রক্ত, কিংবা হঠাৎ করে প্রস্রাবের অভ্যাসে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, তবে অবিলম্বে একজন ইউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। অনেক সময়ে নকটুরিয়া মূত্রনালির সংক্রমণ, প্রস্টেটের সমস্যা, কিংবা হার্টের সমস্যার কারণে হতে পারে। 

  • 8/10

এই উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা দরকার, কারণ অন্ধকারে উঠে বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে যাওয়া বা হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাথরুম পর্যন্ত পথ পরিষ্কার রাখা এবং হালকা নাইট লাইট ব্যবহার করা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

  • 9/10

দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছু ছোট পরিবর্তন আনলে রাতে ঘনঘন প্রস্রাব কমানো সম্ভব। ডা: রবিশঙ্কর পরামর্শ দেন, ঘুমানোর দু'থেকে তিন ঘণ্টা আগে তরল পদার্থ গ্রহণ কমাতে হবে। সন্ধ্যার পর ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলি প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে এবং প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

  • 10/10

তিনি আরও পরামর্শ দেন, রাতে লবণযুক্ত ও ঝাল খাবার কম খেতে, দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করতে এবং নিয়মিত ঘুমের রুটিন বজায় রাখতে হবে। যাদের পায়ের পাতা ফোলা থাকে, তারা ঘুমানোর আগে পা কিছুটা উঁচু করে রাখা বা কমপ্রেশন স্টকিংস ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন। ঘুমের আগে মোবাইল বা টিভির পর্দা এড়িয়ে চলার মতো ভালো ঘুমের অভ্যাসও মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ উন্নত করতে সাহায্য করে।

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement