Heart Attack Signs: ১ মাস আগেই মেলে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত! কোন কোন লক্ষ্মণ দেখলে ডাক্তার দেখাবেন?

দুম করে কারও হার্ট অ্যাটাক হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক মাস আগে থেকেই নাকি কোনও না কোনও ইঙ্গিত মেলে। সেই ইঙ্গিত অবহেলা করলেই হতে পারে বড়সড় বিপত্তি। 
 

আজকাল প্রবীণ হোক কিংবা নবীন, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের সংখ্যা সব বয়সের মধ্যেই বেড়েছে। অসংখ্য মানুষ হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারাচ্ছেন। অনেকেরই ধারণা, দুম করে হার্ট অ্যাটাক হয়। ফলে প্রাণ বাঁচানো মুশকিল হয়। কিন্তু তেমনটা সঠিক নয়। 

জেনে অবাক হবেন, হার্ট অ্যাটাক কখনওই আকস্মিক হয় না। অধিকাংশ সময়েই কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই এর ইঙ্গিত মিলতে শুরু করে। ছোট ছোট সংকেত অবহেলা করলে বাড়তে পারে বড় বিপদ। 

মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (MI) তখনই হয় যখন হার্টে রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হয় না কিংবা থমকে যায়। এই রোগ অবহেলা করলে প্রাণঘাতীও হতে পারে। 

প্রাথমিক সংকেত চিহ্নিত করতে পারলে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়। ফলে পূর্বাভাস কিংবা সংকেত কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। 

বুকে যন্ত্রণা, আনচান করা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাসের অন্যতম লক্ষ্মণ। কখনও কখনও কাঁধে ব্যথা, গলায় বা ঘাড়ে ব্যথা, চোয়াল চিন চিন করার মতো বিষয়গুলিও উপেক্ষা করা উচিত নয়। এমনটা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
 

দিনভর আরামের পর্যাপ্ত সময় পেলেও অনেকে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমনটা হয় হার্টে সঠিক ভাবে রক্ত না পৌঁছলে। এটিকে কখনওই অবহেলা করবেন না। 

দিনভর কর্মব্যস্ত থাকার সময়ে হোক বা বিশ্রামরত অবস্থাতেও শ্বাসকষ্ট হয়, তবে চিন্তার কারণ রয়েছে। দুর্বল হৃদয় ফুসফুসে তরল জমা করে। এর ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি হয়। এর সঙ্গেই যদি বুকে ব্যথা হয় তবে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান। 
 

মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনা ঘটলে বুঝতে হবে হার্টে সঠিক ভাবে রক্ত পৌঁছাচ্ছে না। এটিও বড়সড় ইঙ্গিত হতে পারে। এতে প্রেশার কমে যাওয়া এবং হার্টবিট অনিয়মিত হয়। যদি বুকে যন্ত্রণা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় তবে দ্রুত ডাক্তার দেন। 

হার্টবিট দ্রুত হতে থাকলে হৃদয়ে চাপ পড়ছে তা বুঝতে হবে। এটিও বড় সংকেত। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এর পাশাপাশি বুকে ব্যথা কিংবা মাথা ঘুরলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।