Advertisement

লাইফস্টাইল

Burikhola Dooars Tourism: ডুয়ার্সের এই 'গোপন' জায়গায় গিয়েছেন? পুজোয় নির্জন ভাবে প্রকৃতির কোলে কাটাতে যেতে পারেন

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • মালবাজার,
  • 26 Sep 2025,
  • Updated 5:14 PM IST
  • 1/8

উৎসবের মরসুম মানেই লম্বা ছুটি, ভুরিভোজ আর আনন্দ। তবে পুজোর কটা দিন সকলে যে শহরের কোলাহলে ডুবে থাকতে চান, তা কিন্তু নয়। অনেকেই এই সময়টা কাটাতে চান একটু নিঃশব্দে, প্রকৃতির কোলে, আপনজনের সঙ্গে। আপনি যদি সেই দলে পড়েন, যারা আলোর ঝলকানি আর রেস্তরাঁর ভিড় এড়িয়ে প্রকৃতির কাছে থাকতে চান, তাহলে আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য হতে পারে উত্তরবঙ্গের এক অফবিট ঠিকানা, বুড়িখোলা।

  • 2/8

ডুয়ার্স মানেই সবুজ বন, পাহাড়ি নদী, বন্যপ্রাণ আর অপার নিস্তব্ধতা। এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মধ্যেই মালবাজার থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে এক খুদে গ্রাম বুড়িখোলা, যা এখনও ভিড়শূন্য, শান্ত এবং একেবারে প্রকৃতির বুকে।

  • 3/8

চোখে পড়বে বড় বড় গাছ, নরম ঘাসে মোড়া মাঠ, আর কান পাতলেই শোনা যাবে ঝরনার শব্দ, পাখির ডাক আর পাতায় বাতাসের মৃদু সুর। যাঁরা প্রকৃতির প্রেমে পড়ে থাকতে চান, তাঁদের জন্য এর চেয়ে নিখুঁত জায়গা আর হয় না।

  • 4/8

থাকার ব্যবস্থা
গ্রামের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি মাত্র হোমস্টে— ‘বুড়িখোলা ইকো ট্যুরিজম হোমস্টে’। তাই যাওয়ার আগে বুকিং করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

হোমস্টের সামনে দিয়ে বয়ে চলেছে এক পাহাড়ি নদী। ওপারেই শাকামার জঙ্গল, যা হাতি, ময়ূর সহ নানা বন্যপ্রাণের আশ্রয়স্থল। ভাগ্য ভাল হলে সকাল বা সন্ধেয় নদীর পাড়েই দেখা মিলবে হাতির পালের। যাঁরা নিজেদের গাড়িতে যাবেন, তাঁদের সঙ্গে হোমস্টের লোক থাকলে ভালো।কারণ এই জঙ্গলপথ ও রাস্তাঘাটে স্থানীয়দের চেনা জানা বেশি।

  • 5/8

কীভাবে যাবেন বুড়িখোলা?
ট্রেনে গেলে নামতে হবে নিউ মাল জংশন বা মালবাজার স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়িতে ডামডিম হয়ে বুড়িখোলার দিকে রওনা দিন। গরুবাথানের একটু আগেই ডানদিকে একটি রাস্তা মোড় নেয়— সেখানেই বুড়িখোলা।

নিজের গাড়িতে গেলে মালবাজার পেরিয়ে ডামডিম, গরুবাথান রুট ধরে এগোতে হবে। সঙ্গে গুগল ম্যাপ আর হোমস্টের কাউকে রাখলে পথ চিনতে সুবিধা হবে। পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই খুলে যাবে এক বিস্তীর্ণ সবুজ দৃশ্যপট। এখান থেকেই শুরু বুড়িখোলার সৌন্দর্য।

  • 6/8

মূল আকর্ষণ
পাহাড়ি নদী ও জঙ্গল: হোমস্টের দোরগোড়াতেই পাহাড়ি নদী, ওপারেই জঙ্গল। প্রকৃতিকে এত কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ মেলে খুব কম জায়গায়।

  • 7/8

জঙ্গল সাফারি:
১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই শাকামার জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খুলে যায়। জিপ সাফারিতে জঙ্গলের ভিতর ঢুকে পড়ুন— দেখা মিলতে পারে বুনো হাতি, ময়ূর, নানা প্রজাতির পাখি। বুড়িখোলা এখনও বেশ অফবিট, ফলে পর্যটকের ভিড় নেই বললেই চলে। স্রেফ প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে চাইলে এটাই পারফেক্ট।

 

  • 8/8

তিন দিনের ছুটিতেই ঘুরে আসুন
পুজোর কটা দিন কাজ বন্ধ, স্কুল-কলেজ ছুটি। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুক্র-শনি-রবি— টানা তিন দিনের ছুটি মিললেই প্ল্যান করে নিতে পারেন। বেশি সময় না লাগিয়ে বুড়িখোলা ঘুরে নেওয়া যায় আরামে। আর যদি এক-দু’দিন সময় হাতে থাকে, তাহলে লাভা, কালিম্পং, বা আশপাশের গরুবাথান, চালসা, ডামডিম ঘুরে নেওয়াও যায়।

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement