হাই ব্লাড প্রেশার (High Blood Pressure) বা হাইপারটেশানের (Hypertension) সমস্যা মানুষকে মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দিতে পারে। হাই ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ হাইপারটেনশানের সঙ্গে আর্টিরিয়ালস নামক এক ধমনীর সংযোগ রয়েছে। এই ধমনীই সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনার কাজ করে। যখন এটি পাতলা হয়ে যায়, সেই সময় হৃদযন্ত্রকে রক্ত পাম্প করার জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে রক্তচাপে সমস্যা তৈরি হয়। (ছবি সূত্র-গেটি)
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যদি এই ধমনীর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না রা হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে। রক্তচাপের সমস্যা বেশি মারাত্মক, কারণ এতে উপসর্গ সহজে বোঝা যায় না। ওয়েলিংটন হাসপাতালের কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট আফজল সোহেব বলেন, উচ্চ রক্তচাপের ক্রমবর্ধমান সমস্যা ৬টি উপসর্গের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। (ছবি সূত্র-গেটি)
জানা যাচ্ছে, যখন ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয়, তখন দেহে বেশকিছু পরিবর্তন আসে। আফজাল সোহেব জানাচ্ছেন, হাইপারটেনশন মূলত ২ ধরনের হয়, আর্জেন্ট এবং ইমারজেন্সি। (ছবি সূত্র-গেটি)
আফজাল সোহেবের মতে, আর্জেন্ট হাইপারটেনশন এমন একটি বিষয় যেখানে মানবদেহে উচ্চ রক্তচাপ থাকে। তবে তাতে কোনও অঙ্গের ক্ষতি হয় না। কিন্তু ইমারজেন্সি ক্যাটাগরিতে রোগীর উচ্চ রক্তচাপের পাশপাশি অঙ্গেরও ক্ষতি হয়। এর ফলে মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।
ডাক্তারবাবু জানাচ্ছেন, শরীরের কিছু বিশেষ উপসর্গ লক্ষ্য করলে হাইপারটেনশানকে চিহ্নিত করা যায়। তাঁর মতে, যদি কেউ হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করেন বা দৃষ্টিতে সমস্যা বোধ করেন তাহলে সেটি হাই ব্লাড প্রেশারে সংকেত হতে পারে। (ছবি সূত্র-গেটি)
তাছাড়া মানসিক বিভ্রান্তি, মাথা যন্ত্রণা, বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও ব্লাড প্রেসার সংক্রান্ত সমস্যার ইঙ্গিত। যদি হঠাৎ খিঁচুনি বা শরীরের লাল রঙের দাগ দেখা যায়, তাহলে সেটিও হতে পারে রক্তচাপজনিত সমস্যার উপসর্গ। (ছবি সূত্র-গেটি)
আফজল সোয়েব জানাচ্ছেন, হঠাৎপা ফোলার দিকেও নজর দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে যদি বমি ভাব বা অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা থাকলেও সতর্ক থাকা উচিত। এর মধ্যে কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা পরামর্শ দিচ্ছেন আফজল সোয়েব। (ছবি সূত্র-গেটি)
এই ধরনের সমস্যা শরীরে দেখা দিলে অবিলম্বে ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন আফজল সোয়েব।
জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি এই ধরনের সমস্যা অনুভব করেন তাহলে তাঁর নিয়মিতভাবে রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। (ছবি সূত্র-গেটি)
কেউ কেউ মনে করেন হাই ব্লাড প্রেসারের হয়ত কোনও চিকিৎসা নেই। তবে সঠিক খাবার, নিয়ম মেনে জীবনযাপন ও ওষুধের মাধ্যমে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাছাড়া রোজ শরীরচর্চা, ওজন ঠিক রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, মানসিক চা না নেওয়া এবং ধামপান না করেও হাই ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।