ঘুমিয়েও নাকি টাকা রোজগার করা যায়। তার প্রমাণ দিয়েছেন শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী। টানা ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে ৫ লাখ টাকার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। সেই ত্রিপর্ণা এখন শিরোনামে। অনেকেই বলছেন, ঘুমিয়েও যে রোজগার করা যায় তা প্রথম দেখিয়ে দিলেন ওই যুবতী।
অথচ এই ত্রিপর্ণাকে ঘুমকাতুরে স্বভাবের জন্য একসময় কম কথা হয়নি। স্কুল-টিউশন থেকে বাড়ি, সব জায়গাতেই, যে কোনও সময় তাঁর নাকি ঘুমিয়ে যাওয়ার বদনাম ছিল। তবে সেই বদনামই এখন সুনামে বদলে দিয়েছেন এই যুবতী।
একটি ম্যাট্রেস সংস্থার তরফে আয়োজন করা এই ঘুমের প্রতিযোগিতা যেন ত্রিপর্ণার কাছে এখন আর্শীবাদ। ত্রিপর্ণা জানালেন, তিনি নিজেও জানতেন না যে, পুরস্কার পাবেন। এমনিই নাম দিয়েছিলেন। তবে ফলাফলে দেখা যায় তিনিও পুরস্কার পেয়েছেন।
ত্রিপর্ণা আরও জানালেন, অনেকে তাঁকে ঘুমকাতুরে বলতেন এটা ঠিক। তবে ঘুমের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। কারণ, শরীর-মন ঠিক রাখতে গেলে ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশের অনেক মানুষই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। তার জেরে নানা রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে দিনভর। দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্যও।
তাহলে কীভাবে ঘুমোনো দরকার? কখন ঘুমোনো দরকার? এইসব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন ত্রিপর্ণা নিজেই। তাঁর মতে ৩ টি জিনিস মেনে চললেই ঘুম ভালো হবে। এড়ানো যাবে ঘুম না হওয়ার মতো অসুবিধে। শরীরও থাকবে চাঙ্গা।
কী কী সেই কৌশল? (১) ত্রিপর্ণার মতে, ঘুমও আর পাঁচটা কাজের মতোই একটা। আমরা যেভাবে অফিস যায়, রান্না করি, দৈনন্দিন কাজ সারি মন দিয়ে ঘুম ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সেজন্য প্রয়োজন ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় বেছে নেওয়া। যেন প্রতিদিন সেই সময়েই ঘুমোতে পারি। সেটা সকাল, রাত বা দুপুরও হতে পারে। তবে সময় একটাই থাকা উচিত। রাতে ঘুমোতেই হবে। দিনে ঘুমোনো চলবে না। এইসব ধারনা পুষে রাখলে চলবে না।
২) দ্বিতীয় হল, ঘুমের আগের ১৫ মিনিট। এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ত্রিপর্ণা। তিনি জানান, ঘুমের আগে ১৫ মিনিট কখনও মোবাইল, টেলিভিশন দেখা উচিত নয়। এছাড়াও ঘুমোতে যাওয়ার আগে কখনও সিনেমা দেখা, গান লাউড মিউজিক শোনা উচিত নয়।
৩) ত্রিপর্ণার মতে, ঘুমকেও যেহেতু কাজ হিসেবেই নেওয়া উচিত। সেহেতু ঘুমের আগেও প্রস্তুতি দরকার। যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া, পরিষ্কার জামা কাপড় পরে ঘুমোতে যাওয়া ইত্যাদি।