উত্তরাখণ্ডের চোরাবাড়ি হিমবাহের কাছে, মন্দাকিনী নদীর ধারে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিটার উপরে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। এখানে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর ছুটে আসেন কেদারনাথের (মহাদেব/শিব) দর্শন পেতে।
দুর্গম পাহাড়ি পথ, প্রতিকূল আবহাওয়ার ঝক্কি পেরিয়ে কেদারনাথে পৌঁছাতে গিয়ে প্রতি বছর প্রাণ হারান বহু মানুষ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে বাংলার শান্ত, মনোরম পরিবেশে, সবুজে ঘেরা এক টুকরো কেদারনাথ মন্দিরে অনায়াসেই পৌঁছে যেতে পারেন।
হ্যাঁ, অনেকের হয়তো জানা নেই, হুবহু কেদারনাথ মন্দির, তবে আকারে অনেকটাই ছোট— উত্তরাখণ্ডের মিনি সংস্করণ রয়েছে এই বাংলার দুর্গাপুরেই। চাইলে উইক এন্ডে ঘুরে আসতেই পারেন।
মন্দিরটি অবস্থিত দুর্গাপুর শহরে। দুর্গাপুর রেল স্টেশন থেকে এটির দূরত্ব মোটামুটি আড়াই থেকে ৩ কিলোমিটার।
হাওড়া থেকে সকালে দুর্গাপুর গামী যে কোনও ট্রেন ধরে গন্তব্যের স্টেশনে নেমে কোনও টোটো বা অটো বুক করে পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলার ছোট কেদারনাথ মন্দিরে।
টোটো বা অটোয় উঠে কেদারনাথ মন্দির না বলে ডিপিএল বয়েজ স্কুলের পাশে 'হর হর মহাদেব' মন্দির যাবার কথা বলতে হবে। তাহলেই পৌঁছে যাবেন বাংলার কেদারনাথ মন্দিরে।
সকাল সকাল রওনা দিলে দুপুরের পুজো দেখার সুযোগ মিলতে পারে। এখানে একটা রাত কাটিয়ে ফিরতে চাইলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। মন্দিরের পাশেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা।
মন্দিরের পাশে থাকার জায়গা না পেলেও কাছে-পিঠে রাত্রিবাসের মতো ছোট ছোট বেশ কিছু হোটেল পেয়ে যাবেন।
এখানে একটা রাত, দুটো দিন কাটিয়ে যেতে মাথাপিছু খরচ মোটামুটি ৫০০-৭০০ টাকা। থাকতে না চাইলে খরচ ৩০০ টাকারও কম।
ছবি সৌজন্যে: প্রিয়াঙ্কা, ফেসবুক গ্রুপ Weekend Tours।