পর্বতারোহন একটা নেশা, একটা প্যাশন। কিন্তু এর সেই প্যাশনে একটু টুইস্ট রয়েছে। পাহাড় তো চড়েনই, কিন্তু অনেক সময় নগ্ন হয়ে। ইনি লরা জাসোরকা।
সম্প্রতি তিনি নগ্ন হয়ে পাহাড়ে ওঠার ছবি সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন, যা নিমেষে ভাইরাল হয়।
আমেরিকার বিখ্যাত ট্যাবলয়েড দ্য সান-এর খবর অনুযায়ী ৩৭ বছরের লরা নিউ জার্সির একটি ক্যাসিনোতে কাজ করেন। নিজের ন্যুড ছবি শেয়ার করা লরা-র একটি শখ।
বছর কয়েক আগে তাঁর বান্ধবী একটু অন্য রকম ছবি আপলোডের কথা বলেন, যার মধ্যে নগ্ন হয়ে পাহাড়ে ওঠার ছবির প্রস্তাব ছিল। ব্যস, প্রস্তাব শুনেই পছন্দ হয়ে যায় লরার।
লরা জানান, টপলেস হওয়ার আগে তিনি পাহাড়ের একটি বড় পাথরে উঠে পড়েছিলেন। তাঁর সেই ছবির আত্মীয় পরিজনের ভালো লেগেছে। প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর একাত্ম হওয়া সকলেই তারিফ করেছেন।
লরা আরও জানান, ছবি শেয়ার করে তিনি কোনও আইন বিরুদ্ধ কাজ করেননি। এটা এক ধরনের শিল্প বা আর্ট।
তিনি জানিয়েছেন, ছবি প্রচুর পজিটিভ কমেন্ট এসেছে। তিনি আশা করেন, বিশ্বের সমস্ত নারী নিজেদের শরীরকে ভালোবেসে তার তারিফ করে এই আর্টের কদর করবেন।
লরা আরও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের ফটোশুটে পুরুষদের সঙ্গে নিয়ে যান। কারণ মহিলারা এই পরিস্থিতিতে একটু অন্য ধরনের রিঅ্যাক্ট করেন। তুলনায় পুরুষরা তেমন কোনও রিঅ্যাকশন দেখান না।
লরার মতে, মহিলাদের মধ্যে নিজেদের শরীর নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব থাকে। যার জন্য তাঁরা নগ্ন হতে ভয় পান। তাঁর আশা মহিলারা এই ভয়কে জয় করবেন একদিন।
প্রথমবার যখন নগ্ন হয়ে পাহাড়ে ওঠার প্ল্যান বানিয়েছিলেন লরা তখন বেশ নার্ভাস ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে পাহাড়ে ওঠার সময় সেই ভয় কেটে যায়। শিখরে পৌঁছে খুব সেলিব্রেট করেছিলেন লরা।
ট্র্যাডিশনাল আর্ট ফর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলা জানান, সারা বিশ্বে ন্যুড ছবি শুট করা বা আঁকা কয়েক শতাব্দীর অভ্যাস। এটা একটা উঁচু দরের আর্ট ফর্ম। তিনি যখন তাঁৎ ন্ুড ছবি শেয়ার করেন, তখন শুধুমাত্র পজিটিভ কমেন্টই আসে। যা তাঁৎ এই উপলব্দীকে আরও কয়েকগুণ মজবুত করে দেয়।