Advertisement

লাইফস্টাইল

These Healthy Foods Can Lead To Death: উপকারী ফল-সবজিই হতে পারে 'ঘাতক', বাঁচতে কী করা উচিত?

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 30 May 2022,
  • Updated 6:21 PM IST
  • 1/11

হেলদি (Healthy) এবং লং লাইফ (Long Life)-এ বাঁচার জন্য আমরা কিছু ন্যাচারাল খাবার, কোনও ফল বা সবজির উপর ভরসা করি। কিন্তু আপনি কী জানেন? যে কিছু এমন ন্যাচরাল ফুড (Natural Food) রয়েছে, যেগুলো আপনার আয়ু বাড়িয়ে দেওয়ার বদলে দ্রুত মৃত্যুর দরজায় পৌঁছে দেয়। গুটি থেকে শুরু করে পাতা পর্যন্ত ভয়ঙ্কর রাসায়নিক এবং বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এই কারণে আপনার এর কোয়ান্টিটি এবং রেসিপির সঙ্গে সঙ্গে ঠিকমতো জানা উচিত যে কোনও অংশ খাওয়া দরকার এবং কোন অংশ খাওয়া যাবে না।

  • 2/11

চেরি

মেন্স জার্নালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী চেরি ফল যতই সুস্বাদু হোক না কেন, আমাদের শরীরের জন্য এর আঁটি শুধু ক্ষতিকরই নয় এটি বিষাক্ত। এর মধ্যে মজুত থাকা সায়ানোজেনিক নামের একটি পদার্থ রয়েছে, যা ফেটে গেলে সায়ানাইড নামের কেমিক্যাল কম্পাউন্ডে পরিণত হয়ে যায়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের বক্তব্য অনুযায়ী এর আঁটি বিষে ভরা। এই আঁটি মুখের মধ্যে কখনও ফাটিয়ে ফেলবেন না। তাহলেই কেলো।

  • 3/11

পাফার ফিশ

পাফার ফিশ কে ব্লো ফিশ বা ফুগুও বলা হয়। এই মাছ দেখতে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অনুযায়ী এই মাছের চামড়া এবং শরীর বিষে ভরা থাকে।এর মধ্যে মজুত থাকা পদার্থ আপনার মাংসপেশিরকে প্যারালাইজ করে দিতে পারে এবং নিঃশ্বাসের সমস্যা তৈরি করবে। যা আপনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।

  • 4/11

ক্যাস্টর অয়েল

একাধিক গুণে ভরপুর ক্যাস্টর অয়েল এর প্রয়োগ চামড়া এবং চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এটি ঘরে ব্যবহার করা নারকেল অথবা অলিভ অয়েল থেকে একদম আলাদা। সেন্টোর ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর বক্তব্য অনুযায়ী ক্যাস্টর অয়েল একটা বীজ থেকে বের হয়। যার মধ্যে একটি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। জার্নাল অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট্রির রিপোর্ট অনুযায়ী একটা বিন থেকে বেরোনো বিষ এক হাজার লোকের মৃত্যু ঘটাতে পারে। এ জন্য আপনার ক্যাস্ট্রল অয়েল যদি কিনতে হয় তাহলে অবশ্যই দেখে নিন উৎপাদনের সময় সুরক্ষা মান্যতা মেনে চলা হয়েছে কিনা।

  • 5/11

সেল ফিশ

সেল ফিশও ফুড অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমেরিকান কলেজ অফ এলার্জি এবং ইমিউনোলজি অনুযায়ী যাঁরা নিয়মিত সেল ফিশ খান, তাঁদের এলার্জির সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রস্তুতি নিতে হয়। এটি খাওয়ার পরে প্রায়ই লোকেরা মুখে চুলকানি, গলায় কাশি, গলা ভেঙে যাওয়া, পেট ব্যাথার মত সমস্যায় পড়েন। এলার্জি যদি দ্রুত চিকিৎসা না করা যায় তাহলে এটি মৃত্যু পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে।

  • 6/11

এল্ডার বেরি

এই বেরি একটি সুরক্ষিত খাবার। কিন্তু এর পাতা এবং লতা আপনাকে সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর বক্তব্য অনুযায়ী, এটির পাতা পেটের সঙ্গে সম্বন্ধিত ব্যথা সমস্যার কারণ তৈরি করতে পারে। এল্ডার বেরি পেটে গ্লাইকোসাইড এর সঙ্গে সংস্পর্শে আসে যা পচে যাওয়ার পরে সায়নাইডে পরিবর্তিত হয়ে যায়। যদিও একটা ভালো বিষয় হলো যে এটি রান্না করলে এই বিষাক্ত তত্ত্ব নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে আপনি এটি দিয়ে তৈরি জ্যাম, ওয়াইন কিংবা খাবার খেতে পারেন তবে, কাঁচা একেবারেই নয়।

  • 7/11

জংলি বাদাম

একে বাক্স বাদামও বলে। যদি আপনি বাদাম ভালবাসেন বা বাদামের নাম শুনে আপনার মুখে জল চলে আসে তাহলে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া যায় যে বাজারে পাওয়া যে মিষ্টি বাদাম আমরা খাই, সেগুলি জংলি নয়। ইন্টারন্যাশনাল স্কলারলি টেকনোলজির বক্তব্য অনুযায়ী জংলি বাদামকে খাবারযোগ্য তৈরি করতে হলে এটিকে হিট ট্রিটমেন্ট এর মধ্য দিয়ে প্রসেস করতে হবে। তারপরও এটি বাচ্চাদের পাঁচ-দশটার বেশি খেতে দেওয়া ঠিক নয়। আর বয়স্কদের পঞ্চাশটার বেশি এই বাদাম খাওয়া একেবারেই চিন্তার। বেশি খেলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

  • 8/11

শিমের বীজ

আমাদের চারপাশের বাজারে সব সময় পাওয়া যায়  শিম। বাজারে গেলেই অনেকেই শিম নিয়ে এসে বাড়িতে বিভিন্ন রকমভাবে খান। শিমের চচ্চড়ি বা শিমভাজা আমাদের অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু আপনি কী জানেন যে কাঁচা শিমের মধ্যে মজুত থাকা লাইনো মেরিন নামে একটি তত্ত্ব খাওয়ার পরে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামে একটি বিষাক্ত কেমিক্যালের রূপে ডি কম্পোজ হয়ে যায়। এ কারণে এটি ভালো করে তুলে ধুয়ে, উপযুক্ত আঁচে রান্না করে তারপরে খাওয়া উচিত।

  • 9/11

জায়ফল

ভারতীয় খাবারের মধ্যে জায়ফল অত্যন্ত বেশি ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদেও এর কথা লেখা আছে। কিন্তু কিছু রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে যে জায়ফলের ওপরের স্তরে বিষাক্ত তত্ত্ব পাওয়া যায়। জার্নাল অফ মেডিকেল টেকনোলজি রিপোর্ট অনুযায়ী এই পদার্থ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যাতে মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় এবং মাথা ঘোরার মত সমস্যা তৈরি করে।

  • 10/11

চিনা বাদাম

চিনা বাদাম হেলদি ফুডের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। ঠান্ডার সময় এই বাদাম রেগুলার খেতে থাকলে সর্দি, জ্বর এর সমস্যা অনেকটা কম থাকে। কিন্তু আপনি কী জানেন যে বাদামের মধ্যে থেকে আপনার ফুড অ্যালার্জি সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী কাঠ বাদাম, চিনেবাদাম, অত্যধিক সেবন করলে যে কোনও সময় ফুড অ্যালার্জির সমস্যায় পড়তে পারেন। এটি ইনফ্লামেশন বা প্রদাহের সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি আপনি কখনও এলার্জির লক্ষণ দেখতে পান তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। নইলে বিপদ বাড়তে পারে।

 

  • 11/11

দারচিনি

জায়ফলের মতোই দারচিনি ও প্রত্যেক রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। ২০১২ সালে আমেরিকান এসোসিয়েশন অফ পয়জন কন্ট্রোল সেন্টার এর রিপোর্ট অনুযায়ী সতর্ক করা হয়েছে যে দারচিনির পাউডার নিঃশ্বাসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আপনার নাক দিয়েই পাউডার শরীরের ভেতরে চলে যায় যদি, ফুসফুসে যদি প্রবেশ করে, তাহলে এটি ফুসফুসের প্রদাহ তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া বমি এবং কাশির সমস্যা তৈরি হতে পারে। এটি দীর্ঘদিন যদি এভাবে চলে তাহলে তাঁর প্রাণঘাতী হতে পারে।

Advertisement
Advertisement