আজ বিশ্ব দুগ্ধ বিদস (World Milk Day 2022)। প্রতি বছর ১ জুন দিনটিকে বিশ্বজুড়ে দুধ দিবস হিসাবে পালন করা হয়। দুধের উপরকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করা হয়।
দুধকে একটি সম্পূর্ণ পৌষ্টিক খাদ্য বা সুসম আহার হিসাবে মানা হয় এবং এটিতে ক্যালশিয়াম, পোটেশিয়াম, ম্যাগনিশিয়াম, ফাসফোরস এবং অনেকগুলি ভিটামিন উপাদান পাওয়া যায়। দুধে থাকা হেলদি ফ্যাট শরীরের জন্য খুবই উপকারি।
কেউ শুধু শুধুই ঢক ঢক করে দুধ খেয়ে ফেলেন, কেউ আবার এর সঙ্গে কিছু মিশিয়ে আরও সুস্বাদু করে খেতে পছন্দ করেন। নানা স্বাদের ‘মিল্ক শেক’ যে যার পছন্দ মতো বানিয়ে নেন। কিন্তু দুধের সঙ্গে কয়েকটি খাদ্য উপাদান মিশিয়ে খেলেই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তা মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে! চলুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
মাছের সঙ্গে দুধ: দুধের শীতল প্রভাব থাকে মাছ খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই সংমিশ্রণে শরীরে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয় এবং এর ফলে শরীরে রাসায়নিক পরিবর্তনও আসতে শুরু করে। মাছ-মাংসের সঙ্গে দুধ খেলে হজমের সমস্যা হয় এবং পেটে ভারি ভাব থাকে।
কলার সঙ্গে দুধ: অনেকেই দুধ এবং কলার মিশ্রণকে খুব স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এর সঙ্গে একমত নন। তার মতে, কলা ও দুধ একসঙ্গে খেলে তা অনেক সময় লাগে। এই দুটি একসঙ্গে নিলে একজন ক্লান্ত বোধ করে। তাই দুধ ও কলা আলাদাভাবে খেতে হবে।
ফলের সঙ্গে দুধ: অনেক ফলের সঙ্গে দুধ পান করাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দুধ পাকস্থলী পরিষ্কার করতে কাজ করে, অন্যদিকে ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক লবণ ও জল থাকে, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে কিডনি পরিষ্কার রাখতে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে এবং শরীরে টক্সিন বাড়তে পারে। এ কারণে বমি ও ডায়রিয়ার সমস্যাও হতে পারে। তাই আলাদা করে খান।
মূলার সঙ্গে দুধ: আয়ুর্বেদ অনুসারে, মুলা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুধ পান করা উচিত নয় কারণ মূলা গরম এবং এটি দুধের সঙ্গে খেলে পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে। দুধ এবং মূলা আলাদাভাবে খাওয়া উচিত কারণ তারা একসঙ্গে হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলা বা তা থেকে তৈরি জিনিস খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর দুধ পান করুন।
দুধের সঙ্গে টক জিনিস: বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুধে টক বা অম্ল জাতীয় জিনিস মেশানো উচিত নয়। দুধের সঙ্গে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দুধ হজম হতে সময় লাগে। দুধের সঙ্গে লেবু বা যেকোনো টক ফল খেলে পেট ঘন হতে শুরু করে। এটি ভিড়, সর্দি, কাশি, ফুসকুড়ি এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।