সোফায় পা এলিয়ে ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করার অভ্যেস আমাদের অনেকেরই আছে। ল্যাপটপ নামটার মধ্যেই আছে কোল (ইংরিজি শব্দ ল্যাপ-এর অর্থ কোল)। কাজেই কোলে তুলে নিয়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা নেটফ্লিক্সে ওয়েব সিরিজের আনন্দ নিতে আপাত দৃষ্টিতে কোনও অসুবিধা নেই।
তবে জানলে অবাক হবেন, পুরুষরা এই ল্যাপটপ কোলে কাজ করতে গিয়েই ডেকে আনছে বড় বিপদ। যাতে শেষপর্যন্ত পুরুষত্ব হারানোর মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
নারী-পুরুষের শারীরিক মিলনের পর অসংখ্য শুক্রাণু ডিম্বাশয়ের দিকে ছুটতে থাকে। শেষপর্যন্ত বলিষ্ঠতম শুক্রাণুটিই ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন প্রাণের জন্ম দেয়। এখন, ডিম্বাশয় নারীর শরীরের ভেতরে থাকলেও, শুক্রাশয় পুরুষের শরীরের বাইরে থাকে। এর একটি কারণ, পুরুষের শরীরের বাকি অংশের তাপমাত্রার থেকে সবসময় ২ ডিগ্রি কম থাকে শুক্রাশয়ের তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রার হেরফের ঘটলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুক্রাণু। শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেওয়া।
তাই শরীরে কোনো রোগ না থাকলেও ল্যাপটপ কোলে কাজ করলে কমে যাচ্ছে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা। কারণ, ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এর নীচের অংশ থেকে তাপ নির্গত হয়। সেই তাপেই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুক্রাণু।
সম্প্রতি আমেরিকার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের চিকিৎসক ইয়েলিম সেইনকিন তাঁর গবেষণাপত্রেও জানিয়েছেন, দীর্ঘ ক্ষণ কোলে ল্যাপটপ রেখে কাজ করার ফলে অণ্ডকোষের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আর তাতেই এই সমস্যা হচ্ছে।
ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করার ফলে ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপ বাইরে বেরতে পারে না। ঠিক কতক্ষণ ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করা বিপজ্জনক নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া সম্ভব নয়।
তবে, জানা গেছে, দৈনিক এক ঘণ্টার বেশি ল্যাপটপ কোলে কাজ করলেই সমূহ বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুরুষরা সাবধান হয়ে যান, ল্যাপটপের জন্য ছোট টেবিল বা ডেস্কের ব্যবস্থা করুন। না পারলে বিছানায় রেখেই কাজ করুন, কিন্তু কোলে নৈব নৈব চ। সে নাম যতই 'ল্যাপ' টপ হোক না কেন। নইলে হারাতে পারেন আপনার মূল্যবান পুরুষত্ব।