প্রত্যেক বছর ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয় ন্যাশনাল নিউট্রিশন উইক। এর উদ্দেশ্য মানুষকে সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন করা। সপ্তাহজুড়ে এই ৭ দিন সুস্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সমর্পিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরে খাওয়ার সময় ঘি আর গুড় খাওয়া খুবই উপকারী। হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে।
এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর হয়। এটি শরীরে এনজাইম সক্রিয় করতেও সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একটি কলা ব্রেকফাস্ট বা সন্ধেবেলায় খাওয়া উচিত। কারণ এটা প্রমাণিত হয়েছে যে কলা হজমশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট সহজেই ভেঙে যায় যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
দই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দুপুরের খাবারের পর দই খেলে পাচনতন্ত্র ভালো কাজ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দইয়ের সঙ্গে কিশমিশে খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এই দুইয়ের সংমিশ্রণ প্রাক এবং প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে, যা হজম প্রক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।
নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং হালকা ব্যায়ামও পাচনতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও ভাল হজমের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন। এছাড়াও, পর্যাপ্ত জল খাওয়া উচিত।
ফিট থাকার জন্য আমরা প্রায়ই স্বাস্থ্যকর চর্বিজাতীয় খাবার যেমন ঘি, মাখন এবং ফ্যাটযুক্ত দুধ আমাদের দৈনন্দিন খাবার থেকে দূরে থাকি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বেশি করে ঘি, নারকেল, চিনাবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
সঠিক খাবার খাওয়ার পরেও যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাহলে সঠিক অনুপাতে খাবার খাচ্ছেন কিনা তা দেখুন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডাল এবং ভাত খেলে চালের পরিমাণ ডালের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত।
চা এবং কফি অতিরিক্ত খেলে হজমক্রিয়ায় অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ৩ কাপের বেশি চা বা কফি খাওয়া উচিত না।