আর অল্প দিনের অপেক্ষা অন্তরীক্ষে পৃথিবীর কক্ষে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইট বা উপগ্রহের জ্বালানি ভরবে অন্তরীক্ষের জ্বালানি পাম্প।
ফলে জ্বালানি শেষ হওয়ার কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার ঘটনা আর ঘটবে না। কিংবা যারা চাঁদ কিংবা মঙ্গলের যাত্রায় যাঁরা যাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও জ্বালানির জন্য হাপিত্যেশ করতে হবে না।
কারণ তাঁরা অন্তরীক্ষে জ্বালানি করার সুবিধা পাবেন। চলতি বছরের জুন মাসে সান ফ্রান্সিস্কো তে অবস্থিত একটি স্টার্ট আপ কোম্পানি পৃথিবীর কক্ষপথে প্রোটোটাইপ রিফুয়েলিং স্টেশন লঞ্চ করে দিয়েছে। যা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে।
স্টার্টআপ কোম্পানির নাম অরবিট ফ্যাব। কোম্পানির রিফুয়েলিং স্টেশন এর নাম তেনজিং-০০০১। সম্প্রতি কোম্পানি ১০ মিলিয়ন ডলারের অর্থাৎ ৭৩.৬৭ কোটি টাকা তহবিল পেয়েছে।
এই রিফিলিং স্টেশনের সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবে সেই সমস্ত দেশগুলি, যে সমস্ত দেশের স্যাটেলাইটের ইন্ধন শেষ হয়ে গিয়েছে। এগুলিতে জ্বালানি ভরে ফের সক্রিয় করা সম্ভব।
ফলে পুরনো স্যাটেলাইটগুলিকে অন্তরীক্ষে রিফিল করতে পারলে নতুন করে আর স্যাটেলাইট পাঠাতে হবে না। পুরনো স্যাটেলাইটগুলিই কাজ করতে পারবে। এদিকে এতে একদিকে যেমন খরচ কমবে, তেমনই অন্তরিক্ষের স্যাটেলাইট এর ট্রাফিক জ্যাম হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
তৃতীয়তঃ সবচেয়ে বড় ফায়দা হবে ট্রাফিক কমে যাওয়ার ফলে দুটি উপগ্রহ নিজেদের মধ্যে ধাক্কা খেয়ে পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমবে। ভবিষ্যতে চাঁদে ও মঙ্গলে যাওয়ার পথে অ্যাস্ট্রোনট রাও নিজেদের মহাকাশযানে এখান থেকে জ্বালানি করতে পারবেন।
সূর্যের কক্ষপথে স্যাটেলাইট এই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকবে। পাশাপাশি এটি থেকে লাগানো ক্যামেরা পৃথিবীর ছবিও তুলতে থাকবে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাঠাতে থাকবে পৃথিবীতে।
ফলে এখন থেকে পৃথিবীর কক্ষপথে বাড়তি বোঝা লাঘব হবে। সেই সঙ্গে বাড়তি সমস্যাও কমবে জ্বালানি সংক্রান্ত। সব দিক দিয়েই লাভবান হবে প্রকৃতিই।