পিরিয়ড মিস করলে অনেক মহিলাদেরই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। হয় তাঁদের মনে অনেক আশা জন্মায় অথবা অনেক দুশ্চিন্তা।
ঠিক এই সময়ে একমাত্র প্রেগনেন্সি টেস্টই চিন্তামুক্ত করতে পারে। তবে প্রশ্নটা ওঠে যখন, অনেক লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও আপনি প্রেগনেন্ট নন, তখন।
জেনে রাখা ভালো, প্রেগনেন্সির লক্ষণ ও পিরিয়ডের আগের লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু একই রকম। মাসিকের দিন যত পিছিয়ে যায়, এই লক্ষণগুলি আরও বেশি করে অনুভূত হয়।
ক্লান্ত লাগা, দুর্বল লাগা, অত্যাধিক মেজাজ হারানো, নার্ভাস হওয়া, পেট ফাঁপা ভাব, গা বমি লাগা, বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছে করা ইত্যাদি লক্ষণগুলি কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাড়িতে টেস্ট করে রিপোর্ট পজিটিভ আসার কিছুদিন পরে পিরিয়ড হয় অনেক মহিলাদের। তবে সেক্ষত্রে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
৩০ শতাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে ফ্যালোপিয়ান টিউব থেকে জরায়ুতে গিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে নিষিক্ত ডিম্বাণু ধ্বংস হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে প্রথম দিকে পজিটিভ রিপোর্ট আসলেও, কিছুদিনের মধ্যে পিরিয়ড হয়।
এই জন্যে চিকিৎসকেরা সব সময় পরামর্শ দেন, পিরিয়ড মিস হওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পরে টেস্ট করানো উচিত।
তবে অনেক সময়ে আবার একাবারে উল্টো পরিস্থিতি সামনে আসে। টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও আসলে সেই মহিলা প্রেগনেন্ট হন। এর কারণগুলি জানুন।
স্ট্রেস
স্ট্রেস আমাদের শরীর অত্যাধিক ক্ষতি করে। ফলস্বরূপ ডিম্বানু উৎপাদন হয় না এবং তখন পিরিয়ড হয় না। তবে গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি অবশ্যই শুরু হয়।
ওষুধ
অত্যাধিক ওষুধ খেলেও পিরিয়ডের সমস্যা হয়। তার মধ্যে থাইরয়েড, ডায়বেটিসের ওষুধ, এমনকি স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ আরও ক্ষতিকারক।
মেনোপজ
প্রায় ৫২ বছর বয়স থেকে মেনোপজ শুরু হয়। এতই অনেক ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সী মহিলাদেরও হয়। মেনোপজের ঠিক আগে অনেক সময় পিরিয়ড অনিয়মিত হয়। আসলে এই সময়ে শরীরের হরমোনের অনেক পরিবর্তন হয়। সেই সময়ে প্রেগনেন্সির মতো অনেক লক্ষণ অনুভূত হয়।