রাজস্থানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক পুষ্কর গবাদি পশু মেলা শুরু হয়েছে। এই ধর্মীয় ও পর্যটন-গুরুত্বপূর্ণ মেলা কেবল রাজস্থান নয়, সমগ্র ভারতের গ্রামীণ জীবনধারা এবং লোক সংস্কৃতির এক ঝলক উপস্থাপন করে।
৩০শে অক্টোবর পতাকা উত্তোলনের পর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে, এরপর ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
২৪শে অক্টোবর থেকে মেলার সকল প্রবেশপথে পশু চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হবে। এই চেকপয়েন্টগুলিতে, উট, গরু, মহিষ এবং ঘোড়ার মতো প্রধান প্রাণীদের নিবন্ধন করা হবে, বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ট্যাগ করা হবে।
এই বছর পশু সনাক্তকরণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে, প্রতিটি প্রাণীর সম্পূর্ণ তথ্য ডিজিটাল রেকর্ডে লিপিবদ্ধ করেছে। এটি কেবল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে না বরং পশু সুরক্ষা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করবে।
এখন পর্যন্ত ৪১৭টি প্লট পশুপালকদের বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ২২শে অক্টোবর, মেলার প্রথম দিন, মোট ২০৪টি পশু পুষ্করে এসে পৌঁছেছে। মেলা যত এগোবে, পশুপালনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পশুপালন বিভাগ পশুপালকদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কোনও পশুপালক বা পশু যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বিভাগীয় দলগুলি ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবে।
পশুপালন বিভাগ পশুপালকদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কোনও পশুপালক বা পশু যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বিভাগীয় দলগুলি ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবে।
এবারও মেলায় উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতার একটি সিরিজ থাকবে। মেলার প্রতিযোগিতা ২রা নভেম্বর দুধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হবে। এরপর ৩রা নভেম্বর সকাল ৯টায় ঘোড়ার কল প্রতিযোগিতা, সকাল ১০টায় গরুর কল প্রতিযোগিতা এবং দুপুর ২টায় গির গরুর কল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
৪ঠা নভেম্বর, দুপুর ১২টায় উট সাজসজ্জা প্রতিযোগিতা এবং দুপুর ২টায় নাগৌরি ষাঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।