Radish Health Benefits: শীতকাল মানে একের পর এক সবজি খাওয়ার সুযোগ। বিভিন্ন রকমের সবজি এ সময় বাজারে পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম মুলো। এই সবজিতে রয়েছে অজস্র গুণ।
আরও পড়ুন: মিছিলে BJP-র রূপা-অনিন্দ্য কেন? শতরূপকে তিরস্কার করল CPIM
এর এত উপকারিতা জানলে চমকে যেতে হয়। আমাদের ইমিউনিটি বাড়ায়, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, শিরা-ধমনীর জন্য খুব উপকারী। বেশিরভাগ লোক মুলোকে স্য়ালাডের সঙ্গে বা স্যালাড হিসেবে খেতে পছন্দ করেন। আসুন দেখে নিই রোজ শীতের সময় কী কী উপকার পেতে পারে এই সবজি থেকে। আপনার শরীরকে কোন রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে এটি।
ইমিউনিটি- মুলোতে থাকে প্রচুর ভিটামিন-সি। ঠান্ডা লাগা থেকে শরীরকে বাঁচাতে অত্যন্ত কার্যকর। শীতকালে ঠান্ডা লেগে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। ফলে এই সমস্যা থেকে দূর করতে মূলো দারুণ কার্যকর। শরীরে ব্যথা-জ্বালা থেকে উপশম দেয়।
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে- এতে পটাশিয়াম থাকে। এর মাধ্যমে শরীরে পটাশিয়াম পৌঁছে যায়। ফলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষ করে আপনি যদি হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার খাবারের মুলো অবশ্যই রাখা উচিত। আয়ুর্বেদ বলছে রক্তকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
হার্টের রোগ- মুলোতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। যা আমাদের হার্টের জন্য খুব কাজের। রোজ মুলো খেলে হার্টের রোগ থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যেতে পারে। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ফ্লেবোনয়েডস। মুলো রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায়।
আরও পড়ুন: মালামাল করে দেওয়া পেনি স্টক, এক বছরে ১ লক্ষ টাকা হয়েছে ৩০ গুণ!
ফাইবার- মুলো ফাইবারের এক বড়সড় উৎস। রোজ যদি স্যালাড হিসেবে খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে যে ফাইবার দরকার তা অনেকটাই পূরণ করা যেতে পারে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ থাকলে পাচনতন্ত্র ভাল মতো কাজ করতে পারে। মুলো গলব্লাডার সুরক্ষিত রাখে।
রক্তবাহিকাকে মজবুত করে- মুলোতে প্রচুর পরিমাণে কোলেজন থাকে। যা রক্তবাহিকাকে মজবুত করে। এর ফলে এথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো গভীর অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
মেটাবলিজম- মেটাবলিজম ঠিকঠাক রাখতে এর মানে মুলোর ভূমিকা অপরিসীম। এটা যে পাচনতন্ত্রের জন্য ভাল, তা নয়, অ্যাসিডিট, শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও সমাধান করে।
ত্বক- যদি আপনি চান আপনার ত্বক ঝকমকে হবে, তাহলে মুলোর জুস ট্রাই করতে পারেন। এর মধ্যে ভিটামিন সি আর ফসফরাস রয়েছে। এর পাশাপাশি এটা শুষ্ক ত্বক এবং ব্রন দূর করতে সাহায্য় করে। চুলে লাগালে খুশকির সমস্যা থেকে বাঁচতে পারা যায়। আর চুলের গোড়াও শক্ত হবে।
পুষ্টিগুণ- লাল মুলোতে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি৬। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে তাতে। এছাড়া এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্য়ান্ট, ফাইবার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।