শীতকাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে এবং আর্দ্রতাও কমে যায়।
তাপমাত্রা কমে যাওয়া কেবল ত্বকের জন্যই খারাপ হতে পারে না, বরং আপনার চুলের স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
আসলে, শীতকালে বেশিরভাগ মানুষের চুল শুষ্ক এবং কোঁকড়া হয়ে যায়। এই সমস্যাগুলি চুল ভেঙে যাওয়ার কারণও হতে পারে।
যদি আপনি চান শীতকালেও দারুণ সুন্দর চুল। তবে এই সময় চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। আপনার চুল যাতে ভেঙে না যায়, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় এমন কিছু জিনিস রাখতে হবে যা আপনার চুলকে শীতের মরসুমে ভাল রাখতে সাহায্য করবে।
আজ আমরা আপনাকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ দেওয়া ৫টি খাবার সম্পর্কে বলব, যেগুলো খেলে আপনি শীতকালে আপনার চুল ভাঙা থেকে বাঁচাতে পারবেন না বরং লম্বাও করতে পারবেন।
স্যামন মাছকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা আপনার মাথার ত্বকের পুষ্টি এবং চুলের শক্তি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
ওমেগা-৩ চুলের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে, ভাঙা কমাতে এবং শীতের বাতাস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ডিম হল বায়োটিনের অন্যতম সেরা উৎস, যা চুলের বৃদ্ধি এবং শক্তির জন্য অপরিহার্য। বায়োটিনের অভাব চুল পাতলা এবং ভেঙে যেতে পারে, যা ঠান্ডা আবহাওয়ায় আরও খারাপ হতে পারে।
এগুলো আপনার চুলে প্রোটিন সরবরাহ করে, যা চুলকে মজবুত করতে এবং চুলের ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা আপনার শরীর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এটি শরীরে সিবাম, একটি প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। সিবাম আপনার মাথার ত্বককে আর্দ্রতা দেয় এবং শুষ্কতা রোধ করে।
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা আপনার শরীর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এটি শরীরে সিবাম, একটি প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। সিবাম আপনার মাথার ত্বককে আর্দ্রতা দেয় এবং শুষ্কতা রোধ করে।
এর পাশাপাশি, বাদাম এবং বীজ চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং চুল পড়া রোধ করে। পালং শাকের মতো সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা চুলের গোড়া শক্তিশালী রাখার জন্য অপরিহার্য।
আয়রনের ঘাটতির কারণে চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং চুল পড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে ঠান্ডার মাসগুলিতে যখন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়।