Jaldapara National Park Chilapata Forest: গাছে আঁচড় কাটতেই দরদর গাছ থেকে ঝরে পড়ছে লাল রক্তের মতো আঠালো পদার্থ। আর এই টানেই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান (Jaldapara National Park)-এর মধ্যে থাকা চিলাপাতা অভয়ারণ্য (Chilapata Forest)-এ নলরাজার গড়ের জন্মানো রামগুয়া গাছ (Ramguya Tree)।
আরও পড়ুন: R Madhavan-কে ফ্যান বললেন 'ড্যাডি', 'আঙ্কল বলেই ডাকো সোনা', জবাব তাঁর
পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এই রামগুয়া গাছগুলোতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইডদের বিরুদ্ধে। এই কারণেই বর্তমানে চিলাপাতার জঙ্গলে রামগুয়া গাছ (Ramguya Tree)-এর অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
আরও পড়ুন: টাটা-বিড়লার এই ২ শেয়ার মালামাল করে দিয়েছে, ২,৭০০ শতাংশ রিটার্ন
বর্তমানে চিলাপাতার জঙ্গলে মাত্র ছয়টি রামগুয়া গাছ (Ramguya Tree) রয়েছে। পরিবেশপ্রেমীদের আশঙ্কা এই রামগুয়া গাছ (Ramguya Tree)-গুলো যদি বন দফতর আইনগত ভাবে সংরক্ষণ না করে, তবে অচিরেই চিলাপাতার জঙ্গল (Chilapata Forest) থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: 'নিউ ইয়ারে আমি খাইয়ে দেব,' বিহারে বিষ মেশানো খাবার দিয়ে স্ত্রীকে খুন
বর্তমানে চিলাপাতার জঙ্গল ছাড়া উত্তরবঙ্গের নেওড়া ভ্যালি এবং নিম্ন অসমের জঙ্গলে খুবই কম সংখ্যায় এই রামগুয়া গাছ (Ramguya Tree) দেখতে পাওয়া যায়। চিলাপাতার জঙ্গলে যে ছয়টি রামগুয়া গাছ রয়েছে, তার মধ্যে একটি গাছের অবস্থা খুবই খারাপ।
আরও পড়ুন: কাঁচা বাদাম এবার ভোজপুরিতে, রাকেশ মিশ্রার ভিডিও VIRAL
কারণ চিলাপাতার জঙ্গলে জিপ সাফারি করার পথেই এই রামগুয়া গাছ (Ramguya Tree)-টি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় নয়া COVID-বিধি, বার-রেস্তোরাঁ কতক্ষণ খোলা থাকবে?
স্বাভাবিক ভাবেই জঙ্গলে পর্যটক প্রবেশ করলেই এই গাছের দেহ খোদাই করে গাছটির থেকে লাল আঠালো রস বের করে তা পর্যটকদের সামনে তুলে ধরেন ট্যুরিস্ট গাইডরা। ফলে গাছটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে।
আরও পড়ুন: রিটার্ন দিয়েছে ১১, ৬৬৪ শতাংশ, মানে ১ লক্ষ টাকা রেখে পেয়েছেন ১ কোটি ১৭ লক্ষ
চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটির কনভেনর অভিক গুপ্তা বলেন, "আমরা বন দফতরের কাছে এই বিরল প্রজাতির গাছ (Ramguya Tree)-টি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছি। অনেক পর্যটক রয়েছে, যারা না বুঝেই গাছ (Ramguya Tree)-গুলো খোদাই করে গাছগুলোর ক্ষতি করছে।"
অবিলম্বে এই গাছ (Ramguya Tree)-গুলো সংরক্ষণের আওতায় এনে বাঁচিয়ে রাখাই এখন এক চ্যালেঞ্জ।
পরিবেশপ্রেমী শুভদীপ পাল বলেন, "এটা কুসংস্কার। আর সেই কারণে মানুষ গাছ (Ramguya Tree)-গুলোর ক্ষতি করছে। এটা একটা অপরাধ। বন দফতরের উচিত গাছগুলো বাঁতচিয়ে রাখতে পদক্ষেপ করা। এই গাছ থেকে কোনও রক্তক্ষরণ হয় না। এই ধরনের লাল আঠালো পদার্থ অনেক গাছ থেকেই নির্গত হয়।"
তাই পর্যটকদের আরও সচেতন হতে হবে। এবং যারা ট্যুরিস্ট গাইড রয়েছেন তাদেরও সতর্ক হতে হবে।