একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ অন্যদিকে চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে গুরুতর সংঘর্ষের পরিস্থিতি। ফলে গোটা বিশ্বেই এক অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় যদি পরমাণু যুদ্ধ হয় তাহলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে।
এরপরও কিছু মানুষ বেঁচে থাকলেও কয়েকদিনের মধ্যে দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। কারণ খাবারও থাকবে না, পানীয় জলেরও অভাব দেখা যাবে। ক্ষেতের ফসল, গুদাম থেকে খাদ্যশস্য, গাছ-গাছালি সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। পানীয় জলের সমস্ত উৎস নষ্ট হবে। তারপরও যেটুকু জল থাকবে, তা খেলে ক্য়ান্সার হবে। এই গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : 'বাবা হেফাজতে, মা'কে হারিয়েছি; কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না'
আরও পড়ুন : বুড়ো হয়ে যাচ্ছে সূর্য, আর কতদিন বাঁচবে?
এবার প্রশ্ন ,যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হয় তাহলে কী হবে? প্রসঙ্গত, তাহলে দুই দেশই পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত। তাদের মধ্যে যুদ্ধ হলে বিশ্বে তার প্রভাব পড়বেই। এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হবে যে,যেসব দেশে পরমাণু যুদ্ধ হয়নি সেখানেও মানুষ নিরাপদ থাকবে না। কিন্তু কোনও দেশ উদ্যোগ নিলে তার ফল হবে খুবই খারাপ। মানব সভ্যতার শেষ এখানেই শুরু হবে। পৃথিবী থেকে মানুষ বিলুপ্ত হতেও পারে।
রাটজার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালান রোবকের মতে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ হলে, পরমাণু অস্ত্র থেকে নির্গত শক্তি সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষকে হত্যা করবে। অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছিল তার অর্ধেক।
ভারত-পাক যুদ্ধ হলে প্রায় ৫ মেগাটন ছাই নির্গত হবে। এছাড়াও আগামী ২ বছরে খাদ্যের অভাবে ২৫.৫ কোটি মানুষ মারা যাবে। অ্যালান রোবকের আরও অনুমান, প্রায় ২০০ কোটি মানুষও মারা যেতে পারে। যুদ্ধের প্রত্যক্ প্রভাবের পাশাপাশি পরোক্ষ প্রভাবও থাকবে। আগামী কয়েক দশক ধরে তার ফল ভুগতে হবে দুই দেশকেই।
আরও পড়ুন : বয়স ৩০-৪০? কী কী খাবার মোটা হওয়া আটকাবে? দেখে নিন
আরও পড়ুন : একটা পিৎজা কেড়ে নেয় জীবনের ৮ মিনিট, কোন খাবার কতটা আয়ু কমায়? জানুন
আরও পড়ুন : না ফেলে খান আলুর খোসা, সারবে এই ৫ রোগ
যদিও পারমাণবিক যুদ্ধ হওয়া সহজ নয়। ভারত ১৯৯৯ সালে পরমাণু অস্ত্র 'প্রথম ব্যবহার না করার' নীতি ঘোষণা করে। অর্থাৎ ভারত কখনই প্রথম পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না। পরমাণু হামলা হলেই ভারত তার পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে। তবে পাকিস্তানে এ ধরনের কোনও নিয়ম বা আইন নেই। কখন এবং কোন পরিস্থিতিতে তাদের পারমাণবিক হামলা চালাতে হবে, তা পাকিস্তানের নেতা ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের উপর নির্ভর করে।