নবি মুম্বইয়ের DY পাটিল স্টেডিয়াম। টানটান উত্তেজনা। ম্যাচের শেষ ক্যাচটি গেল হরমনপ্রীত কউরের হাতে। চোখে জল আর উল্লাসে ভেসে গেল মাঠ। রবিবার ভারতের মেয়েদের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলেন বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ট্রফি জিতলেন ভারতের মেয়েরা। ইতিহাসে এই প্রথমবার, মহিলা ক্রিকেটে বিশ্বজয় ভারতের।
তবে এই লড়াই শুধু খেলার নয়। এটা আসলে ভারতের নীতির জয়। মেয়েদের সবরকমভাবে সমর্থন, সাহস জোগানো... সমস্ত প্রচেষ্টার জয়। আর সেই লড়াই শুরু হয়েছিল বোর্ডরুম মিটিং থেকেই। এমনটা কেন বলছি?
২০২২ সালের অক্টোবরে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিসিআই। পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের সমান পারিশ্রমিক দেওয়ার ঘোষণা হয়।
ভারতে মহিলাদের ক্রিকেটও যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গিয়েছে, তা সেদিন থেকেই সবাই বুঝে গিয়েছিলেন। সেই দিন থেকেই বদলের শুরু। ভারতই বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা এই সম বেতনের সূচনা করেছিল।
অনেকেই অবশ্য তখন এর তুমুল সমালোচনা করেছিলেন। কটাক্ষের ঝড় উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মেয়েদের পরাজয়ের সময় সেই সমালোচনা আরও তীব্র হয়েছিল। কিন্তু ভরসা হারায়নি বোর্ড, তারা জানত, সময় বদলাবে।
রবিবার মুম্বইয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতের মেয়েরা। বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরলেন রিচা, স্মৃতিরা।
টুইটে জয় শাহ লিখেছেন, 'এই জয় শুধুই ক্রিকেট নয়, এটা নীতির জয়।' এই জয়ের পিছনে পে-প্যারিটি, নতুন কোচিং, আর ডব্লিউপিএল এর ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।
তেরঙা পতাকায় ঢেকেছে রাতের আকাশ। এই জয় ভারতের মেয়েদের জয়, এই জয় বিশ্বাসের জয়।