ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা একেবারে নাকানিচোবানি খেয়ে গেছেন। অধিনায়ক বিরাট কোহলি সহ প্রথম ছ'জন ব্যাটসম্যানই ১৯ রানের মধ্যে আউট হয়ে যান। ৩১ রানের মধ্যেই ন'উইকেট হারায় ভারত। অন্যদিকে হাতে মারাত্মক চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন মহম্মদ শামি। ভারতের মোট স্কোর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬। অ্যাডিলেড টেস্টে বোলাররাই কার্যত রাজত্ব করছেন।
ইতিপূর্বে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৪২। ১৯৭৪ সালে লর্ডসে আয়োজিত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দল এই স্কোর করেছিল। তবে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন স্কোর করেছে নিউজ়িল্যান্ড। তারা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৫৫ সালে ২৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল।
নিউজ়িল্যান্ডের পর টেস্ট ক্রিকেটে সবথেকে কম রানের রেকর্ড চারবার গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দলটা দু'বার ৩০ রানে অলআউট হয়ে গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫ রান এবং ৩৬ রানেও অল আউট হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনবার দক্ষিণ আফ্রিকা এই স্কোর করেছে। আর একবার করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর হল ৩৬। এরপর তারা ৪২ রানে অলআউট হয়ে গেছে। এই দুটো ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। যদিও এই দুটো ম্যাচ বহুবছর আগে খেলা হয়েছিল। প্রথম ম্যাচটা ১৮৮৮ সালে সিডনিতে এবং দ্বিতীয়টা ১৯০২ সালে বার্মিংহামে খেলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত ২৪৪ রান করেছিল। এবং অস্ট্রেলিয়া ১৯১ রানেই অলআউট হয়ে যায়। ভারতের কাছে ৫৩ রানের লিড ছিল। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংস তাদের ৩৬ রানেই শেষ হয়ে যায়। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
মহম্মদ শামি রিটায়ার্ড হার্ট হতেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি গড়ে ফেলে। তারা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেই সমান সমান হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচে সর্বনিম্ন স্কোর ৩৬ এবং ৪২। ভারতেরও ওই একই স্কোর হয়েছে।