একেবারে যাকে বলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সিএবি প্রথম ডিভিশন একদিনের টুর্নামেন্টে আজ বড়িশা স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাস্ত করল ভবানীপুর ক্লাব। আরও একবার নিজের জাত চেনালেন অভিষেক দাস। তিনি ৯০ বলে ১০১ রান করলেন। পরপর দুটো ম্যাচে শতরান করে তিনি ভবানীপুরের জয়ের রাস্তাটা মসৃণ করেন।
ইতিপূর্বে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বড়িশা সাত উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান তোলে। দুরন্ত ব্যাটিং করেন অধিনায়ক সুমন্ত গুপ্ত (৬৬ রান), প্রতিশ্রুতিবান উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল (৬৫ রান) এবং কাজ়ি জুনেইদ সাইফি (৫৪ রান)। শেষবেলায় অয়ন গুপ্তর অপরাজিত ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস বড়িশাকে তিনশো রানের চৌকাঠ পেরোতে সাহায্য করেন।
আজকের এমন একটা গরমের দিনে জয়ের জন্য ৩০২ রানের লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে ব্যাট করতে নামে ভবানীপুর ক্লাব। শুরুতেই তারা কিছুটা সমস্যায় পড়ে কারণ দলের ওপেনার অভিষেক রামন তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। কিন্তু, কৌশিক ঘোষ (৪৭ রান) এবং অভিষেক দাসের দ্বিতীয় উইকেটে অনবদ্য ১১৬ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফিরে আসে ভবানীপুর ক্লাব। এরপর দলের অত্যন্ত কঠিন সময়ে মিডল অর্ডারে অরিন্দম ঘোষ এবং অগ্নিভ পান ব্যাট হাতে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখার চেষ্টা করেন। তাঁরা দুজনে যথাক্রমে ৫৬ এবং ৫৯ রান করেন।
ম্যাচের ৪৭ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান তুলেছিল ভবানীপুর। একদিকে হাতে রয়েছে আরও পাঁচটা উইকেট আর জয়ের জন্য ১৮ বলে দরকার ২২ রান। ঠিক সেইসময়ই নাটকীয়ভাবে প্রত্যাবর্তন করল বড়িশা ক্লাব। পরপর দুটো উইকেট শিকার করে দেবপ্রতিম হালদার বড়িশাকে আবারও এই ম্যাচে ফেরত আনেন। অন্যদিকে আবার গোলাম মোস্তাফার (জুনিয়র) বলে ফিরে যান অগ্নিভ পান। পাঁচ উইকেটে যেখানে ভবানীপুরের ২৮০ রান ছিল, সেটা ৯ উইকেটে ২৯৮ রানে দাঁড়িয়ে যায়। তখনও জয়ের জন্য বাকি আরও ৪ রান। তবে মুকেশ কুমার মাথা ঠাণ্ডা রেখে শেষপর্যন্ত খেলেন এবং তাঁর ব্যাট থেকেই বেরিয়ে আসে জয়সূচক রানটি। আর সেইসঙ্গে ভবানীপুরের প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের মুখে দেখতে পাওয়া যায় চওড়া হাসি।
৪৯.৫ ওভারে হাতে একটা উইকেট বাকি থাকতেই ম্যাচটা জিতে নেয় ভবানীপুর। এই ম্যাচ জেতার পর সিএবি প্রথম ডিভিশন একদিনের টুর্নামেন্টে ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। ইতিপূর্বে চলতি মরশুমে জেসি মুখার্জি ট্রফি তাঁরা জয় করেছেন। এবার শেষ ধাপে আবদুল মোনায়েমের দল সাফল্য পায় কি না, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।