ইউরোর মহাযজ্ঞ শেষের পথে। আর মাত্র এক ম্যাচ পরেই জানা যাবে কারা জিতবে সেরার শিরোপা।
একই সঙ্গে দুই মহাদেশে চলছে কোপা এবং ইউরো। বিশ্বকাপ ফুটবলের চেয়ে যার উন্মাদনা কোনও অংশে কম নয়।
অন্যদিকে যেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা, সেখানে ব্রিটিশরা ফাইনালে মুখোমুখি হবে আজুরিদের।
শুরু হয়েছে নানান জল্পনা হিসেব নিকেশের পালা। কারা কোথায় এগিয়ে তা নিয়ে শুরু হয়েছে, হিসেব-নিকেশ জল্পনা।
এখনও পর্যন্ত ইতালি এবং ইংল্যান্ড দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ২৭ বার। তার মধ্যে ইতালি জয় পেয়েছে ১১ টি ম্যাচে। ইংল্যান্ড জিতেছে ৮টিতে। বাকি ৮ টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
দু'দলের প্রথম আটটি সাক্ষাতে ইতালি অবশ্যই একটিও জয় পায়নি। আবার শেষ আটটি লড়াইয়ে আবার মাত্র একটি জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
ইউরো কাপে এই দুই দলের শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১২ সালে। কোয়ার্টার-ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে সেবার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড।
তার আগে ইউরোতে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮০ সালে গ্রুপ পর্যায়ে। সে বারেও ইতালির সঙ্গে হেরে নকআউট পর্যায় থেকে ছিটকে যায় ব্রিটিশরা।
বড় টুর্নামেন্ট ইউরো কাপ এবং বিশ্বকাপের হিসেব ধরলে মূলপর্বে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কখনও হারেনি ইতালি। নক আউটেও ইতালির রেকর্ড ভাল।
সেমিফাইনালে ডেনমার্কের সঙ্গে প্রায় আটকে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কঠিন লড়াই ফিরিয়ে দিয়েছিল ড্যানিশরা। কোনও মতেই এসেছে জয়।
স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালে আরও কঠিন লড়াই অপেক্ষা করতে চলেছে তা ভালই জানেন ইংলিশরা। তাই স্টোনস, ম্যগুয়ের স্টারলিং, কেনদের, সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করে আছে।
অন্যদিকে গতবার বিশ্বকাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করতেই পারেনি একাধিকবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি। যা নিশ্চয় তাদের কুরে খেয়েছে কয়েকটা বছর।
ইতালিকে তাতাচ্ছে নয়া চ্যালেঞ্জ। ফের একবার ইউরো সেরা হওয়ার মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রবলভাবে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ রয়েছে নিজেদের কাছেই। ইতালিকেও স্পেনের সঙ্গে জয় পেতে টাইব্রেকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফলে ইংল্যান্ডের মতো ইতালি ও কঠিন লড়াইয়ে মধ্য দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে। যা তাদের বড় ম্যাচের আগে তৈরি রাখবে বিশেষ করে মোরাতা, ইমমোবিলদের কাছেও ইংল্যান্ডকে রুখে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা লক্ষ্য করা যাবে।