Advertisement

খেলা

IPL 2021 : নিজ়ামবাহিনীকে উড়িয়ে বিজয় কেতন নাইট ব্রিগেডের

কৌশিক বিশ্বাস
  • 12 Apr 2021,
  • Updated 12:20 AM IST
  • 1/10

শুরুটা অসাধারণ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতকাল আইপিএল টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তারা ১০ রানে পরাস্ত করল। আপাতত প্রথম ম্যাচে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শাহরুখ খানের দল। নেট রানরেটে দিল্লি ক্যাপিটালসের থেকে তারা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

  • 2/10

চলতি আইপিএল টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে যদি পর্যালোচনা করা যায়, তাহলে একটাই কথা বলতে হয় যে একবারে নাটকের পর নাটক। জনি বেয়ারস্টো এবং মনীশ পাণ্ডে একটা সময় যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয় নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কিন্তু, নাইট ব্রিগেডের দুরন্ত বোলিংই তাঁদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনল। অবশেষে ১০ রানে জয়লাভ করল মরগ্যান বাহিনী।

  • 3/10

চলতি আইপিএল মরশুমটা জয় দিয়ে শুরু করল কেকেআর। কলকাতার হয়ে ধামাকাদার ব্যাটিং করেছিলেন নীতিশ রানা এবং রাহুল ত্রিপাঠী। খারাপ দিন গেল ভুবনেশ্বর কুমারের। যদি রশিদ খান দলের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। এরপর বেয়ারস্টোর ব্যাটে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল নিজাম বাহিনী। কিন্তু, কলকাতার ডিফেন্সিভ বোলিং সেই স্বপ্নের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ডেথ ওভারে আন্দ্রে রাসেল যে বলটা করলেন, সেটা তাঁর ব্যাটিং ব্যর্থতাকে একেবারে ঢেকে দিল।

  • 4/10

শুরুতেই ফিরে যান সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ দলের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এবং বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর জনি বেয়ারস্টো এবং মনীশ পাণ্ডের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে নিজামবাহিনী। ১২.৬ ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে কাট মারতে গিয়ে সোজা নীতিশ রানার হাতে জমা দিয়ে দিলেন জনি বেয়ারস্টো। বড় উইকেট কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে অসাধারণ ক্যাচ নিলেন রানা। ৪০ বলে ৫৫ রান করে ফিরতে হয়েছে বেয়ারস্টোকে। তিনি পাঁচটি বাউন্ডারি এবং তিনটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৫। এরপরই হায়দরাবাদের ব্যাটিং গ্রাফ অনেকটা নিচের দিকে নেমে যায়। মহম্মদ নবি এবং বিজয় শঙ্কর রান তোলার চেষ্টা করলেও সেইভাবে সফল হতে পারেননি। 

  • 5/10

বিজয় শঙ্করের ওপরে ডেভিড ওয়ার্নার এবং লক্ষ্মণেরা যে ভরসা রেখেছিলেন, তার প্রতিদান তিনি দিতে পারলেন না। ১৭.৬ ওভারে তিনি আন্দ্রে রাসেলের বল লং অফে পাঠাতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু, বল ব্যাটের কানা লেগে কভারের ওপর চলে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন মরগ্যান। তিনি কোনও ভাল করেননি। বিজয় শঙ্কর ৭ বলে ১১ রান করেন। এই জায়গায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এমন একটা পরিস্থিতিতে বিজয় শঙ্করের পরিবর্তে আব্দুল সামাদের ওপর কমলা ব্রিগেড ভরসা রাখলে বোধহয় ভালো করতেন। কারণ কাশ্মীরের এই ছেলেটা মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে প্যাট কামিন্সের বলে অসাধারণ দুটো ছক্কা হাঁকান। কিন্তু, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। শঙ্করের জায়গায় আব্দুলকে নামালে এই ম্যাচের রং পাল্টালেও পাল্টাতে পারত। শেষ পর্যন্ত ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন মণীশ পাণ্ডে এবং ১৯ রানে সামাদ।

  • 6/10

এবার কলকাতার ব্যাটিং নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। ভুবি সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ দলের প্রধান সেনা হলেও গতকালকের রাতটা তাঁর ছিল না। তার কারণ হলেন রানা, সঙ্গে ত্রিপাঠী। শুরুতে শুভমান গিলের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরির একটা যুগলবন্দি গড়ে তোলার পর দ্বিতীয় উইকেটে রানা এবং ত্রিপাঠী ৯৩ রানের একটা ধামাকাদার পার্টনারশিপ গড়ে তুললেন। 

  • 7/10

সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ দলের স্পিনাররা যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছেন। ১৭ এবং ১৮ ওভারে তাঁরা কেকেআরের হাত থেকে ম্যাচটা কার্যত ছিনিয়ে এনেছিলেন। একটা সময় মনে করা হয়েছিল যে কলকাতার এই ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ২০০-২২০ রান করে ফেলতে পারবে। কিন্তু, সেটা হল না। তবে এই রান জয়ের জন্য অনেকটাই কম বলে মনে করা হচ্ছিল।

  • 8/10

ম্যাচের সেরা হলেন নীতিশ রানা। তিনি বললেন, "ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলটা খেলার পরই বুঝতে পেরেছিলাম যে আজকের দিনটা আমার। কারণ সৌভাগ্যক্রমে বাউন্ডারিটা পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার পরিকল্পনা একটাই ছিল যে যদি আমার অঞ্চলের মধ্যে বল থাকে, তাহলে সেটাকে মারার চেষ্টা করব। আমি নিজেই নিজের পিঠ চাপড়াচ্ছিলাম এবং বলগুলোকে মাছিলাম। ছোটোবেলা থেকেই আমি স্পিন বোলিং খেলছি। ফলে এমন একটা ইনিংস যে খেলব, সেটাই স্বাভাবিক ছিল।"

  • 9/10

প্রথম ম্যাচ হারলেও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচের পর তিনি বললেন, আমার মনে হয় না তাড়া করার জন্য খুব একটা বেশি রান স্কোরবোর্ডে ছিল। কিন্তু, ওরা অসাধারণ বল করেছে। আমরাও পরিকল্পনা মতো ব্যাটিং করতে পারিনি। শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে এসেছি। কিন্তু জনি এবং মণীশ যথেষ্ট লড়াই করেছে। তবে হাতে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি রয়েছে। এই ভেন্যুতেই চারটে ম্যাচ খেলতে হবে। ফলে আশা করছি, আগামীদিনে জিততে পারব।

  • 10/10

অন্যদিকে লিগের প্রথম ম্যাচ জিততে পেরে তৃপ্ত ইয়ন মরগ্যান। তিনি বললেন, "আনন্দিত। শুরুটা এভাবে করতে পেরে ভালো লাগছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল, সেটা কাজে লেগেছে। গতকাল আমাদের দলের ক্রিকেটাররা যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং করেছে। বিশেষ করে টপ অর্ডারে নীতিশ এবং ত্রিপাঠী। বোলিংটাও সমানতালে ভালো হয়েছে। এর থেকে ভালো শুরু আর হতে পারত না। একটা কঠিন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় পেলাম। গতকাল শুরুতে এক ওভার বল করেছিলেন ভাজ্জি। কিন্তু তারপর আর বল করলেন না। বরং তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে জেতাতে সাহায্য করলেন। এমন একটা ফলাফলে আমি খুব খুশি। দলে স্কোর নিয়েও স্বস্তিতে রয়েছি।"

Advertisement
Advertisement