বর্ডার -গাভাসকার ট্রফির তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের জন্য ভারতের দল ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। তাতে সহ অধিনায়কের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কেএল রাহুলকে। ফলে কেএল রাহুল দলে থাকবেন কি না তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনই লাখ টাকার প্রশ্ন আরেকটি যে তাহলে ভাইস ক্যাপ্টেন কে হবেন?
গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে ভারত এখনও পর্যন্ত দুটি ম্যাচের দুটিতেই জিতে সিরিজে ২-০ লিডে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত নিশ্চয়ই চাইবে না মোমেন্টাম হারাতে এবং আরেকটি ম্যাচ হারতে। তার মধ্যে ভারতের কয়েকজনের ফর্ম চিন্তায় রেখেছে। যার মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি কেএল রাহুল।
নাগপুরের পর দিল্লি টেস্টে ভারতীয় দল স্পিনারদের আধিপত্যেই ম্যাচ জিতলেও পাশাপাশি পেসাররাও উইকেট তুলেছেন। বিশেষ করে মোঃ শামির কথা বলতেই হয়। তিনি দিল্লি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেন।
এই মুহূর্তে খারাপ ফর্মের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা কেএল রাহুলের উপর টিম ইন্ডিয়াতে জায়গা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ফর্মে থাকা শুভমান গিলকে বসিয়ে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেখানে রাহুল রান না পাওয়ায় নিজের উপর চাপ বাড়িয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সহ অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন রাহুল।
কেএলকে বসিয়ে শুভমানকে খেলানো হোক না হোক, এই মুহূর্তে রাহুলের জায়গায় পরবর্তী ভাইস ক্যাপ্টেন কে হবেন, সেটা নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত রোহিত শর্মার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে।
এখন এই পরিস্থিতিতে সহ অধিনায়কত্বের দৌড়ে দুটি নাম সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। সেটি হল ভারতের স্পিন জুটি রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনেরই পারফর্মেন্স অত্যন্ত ভালো এবং দুজনেই বাকি দুটি ম্যাচে অটোমেটিক চয়েস।
এর আগে যদিও চেতেশ্বর পূজারা সহ অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনিও তেমনভাবে ফর্মে নেই। তবুও পরের দুটি ম্যাচের কথা চিন্তা করে তাঁকে দেওয়া হলেও হতে পারে।
সবচেয়ে যোগ্য লোক হতে পারতেন প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু তিনি একবার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর নিজেই নিতে রাজি হবেন না। তাও আবার ডেপুটির দায়িত্ব। ফলে অন্যদের মধ্যে থেকেই বাছতে হবে