জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অলিম্পিকের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। করোনার সময়কালে সফলভাবে অলিম্পিক আয়োজন করা আয়োজক কমিটির পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ। অলিম্পিক রীতি অনুসারে, গেমসে অংশ নেওয়া অ্যাথলিটদের গেমস ভিলেজে থাকাকালীন বিনামূল্যে কনডম দেওয়া হবে। এই সংখ্যা ১,৬০,০০০ এরও বেশি। তবে এবার এ নিয়ে সমস্যা আছে।
আয়োজকরা ক্রীড়াঙ্গনে অ্যাথলেটদের কনডম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিলেন। আয়োজক কমিটি ঘোষণা করেছে যে অ্যাথলিটরা এই কনডমটিকে বাড়িতে অনুস্মারক হিসাবে নিতে পারে। বাড়ির মাটিতে পা রাখার পরেই তাদের এটি ব্যবহার করতে হবে।
আয়োজক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ কনডম থাকার কারণে ক্রীড়াবিদরা যে কারও সংস্পর্শে আসতে পারে। করোনার মহামারিকালে তাদের এই কাজে থামাতে হবে। কমিটি বলেছিল যে আমাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যটি হচ্ছে ক্রীড়াবিদদের খেলাধুলা গ্রামে কনডম ব্যবহার করা উচিত নয়।
নিরাপদ যৌনতা ও এইচআইভি প্রতিরোধ প্রচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ১৯৮৮ সালে গেমসে কনডম দেওয়ার ব্যবহার শুরু করে। তবে, আগের অলিম্পিকের তুলনায় এবার কম কনডম বিতরণ করা হবে। কমিটি রিও অলিম্পিকের সময় ৪,৫০,০০০ কনডম দিয়েছে।
২০২১ অলিম্পিকে অংশ নেবে এমন প্রায় ১১,০০০ অ্যাথলিটদের প্রত্যেকের জন্য প্রায় ১৪ টি কনডম রয়েছে। ওল্ড টেস্টামেন্ট অ্যান্ড ট্র্যাডিশন কোভিড -১৯ এর পূর্ববর্তী। এখন আয়োজকরা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য অভিযানের অংশ হিসাবে একে অপরকে স্পর্শ করা এড়ানোর জন্য অ্যাথলিটদের বলছেন। কমিটি ৩৩-পৃষ্ঠার প্লেবুক প্রকাশ করেছে যার কনডম প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে। এটি ক্রীড়াবিদদের শারীরিক যোগাযোগ হ্রাস করতে উত্সাহ দেয়।
তবে টোকিও অলিম্পিকে কনডোম ব্যবহার নিয়ে দেওয়া হতে পারে কড়া নির্দেশিকা। সম্ভবত গেমস ভিলেজে একটা বায়ো বাবলের মধ্যেই থাকবে খেলোয়াড়রা। সেখানে একে অপরের সঙ্গে ব্যবহারে সেই কনডোম কাজে লাগতে পারে ক্রীড়াবিদদের। তবে বাইরের কারোর সাথে এটি ব্যবহার করতে পারবেন না তাঁরা।