শিলিগুড়ি শহরে করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সংগঠন সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দুর্দান্ত কাজ করে চলেছে।
দিন-রাত পরিশ্রম করে মানুষের মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে তুলতে তাঁরা ছুটে চলেছেন অনবরত।
কারও অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার, কারও দরকার খাবার, কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
অথচ বাড়িতে লোক নেই, কিংবা হয়তো বাড়ির সকলেই অসুস্থ, এমন পরিস্থিতিতে সর্বদা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মন জিতে নিয়েছে একদল দামাল যুবক-যুবতী।
তাঁদের মধ্যে কয়েকটি সংগঠনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ালো শিলিগুড়ির ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব।
এমন তিনটি সংস্থা, যারা লাগাতার করোনা পরবর্তী ও আগেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে তাদের বেছে নিয়েছিল।
শনিবার তাদের হাতে কিছু করোনা মোকাবিলা সামগ্রী তুলে দিয়ে কুর্নিশ জানালো ফ্যান ক্লাব সদস্যরা।
শিলিগুড়ির ইউনিক ফাউন্ডেশন টিম, প্রিয়জন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এবং শিলিগুড়ি সানরাইজ ফাউন্ডেশনের হাতে করোনা মোকাবিলার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই সংগঠনগুলি কাজকে স্বীকৃতি স্বরূপ এই ছোট উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের সহকারী সম্পাদক স্বস্তিক সাহা।
শিলিগুড়ি ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে এদিন পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজার, হেড ক্যাপ, হ্যান্ড গ্লাভস তুলে দেওয়া হয়।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ১১ নাম্বার গেটে ফুড প্লাজার সামনে, যেখানে ফ্য়ান ক্লাবের কার্যালয়, সেখান থেকেই এই অনুষ্ঠান করা হয়।
কোভিড বিধি মেনে এদিন অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় দিনটি। সেই সঙ্গে সংগঠনগুলির অবদান স্বীতার করে নেন ফ্য়ান ক্লাবের সদস্যরা।
এর আগে শুক্রবার এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তবে শিলিগুড়ির জনপ্রিয় ফুটবল কোচ ও রেফারি গৌতম গুহ-র মৃত্যুতে অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের সভাপতি ভবতোষ সান্যাল, সম্পাদক অনুপ বসু সহ ডাঃ সপ্তর্ষি ঘোষ সহ সদস্যরা।
স্বস্তিকবাবু জানান, এই সংগঠনগুলি লাগাতার মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। তাই আমরা সামান্য সলিডারিটি প্রকাশ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
এতে তারাও উৎসাহ পাবে মানুষের পাশে থাকার। সবাই মিলে আমরা করোনাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিতেই পারি।
এর আগেও ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের তরফেও সমাজসেবামূলক একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফ্য়ান ক্লাবটি কয়েক বছর আগে স্থাপিত হয়েছিল মূলত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতি সমর্থন থেকেই। লাল-হলুদের ফ্য়ান শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে তুলনামূলক বেশি। সেই আবেগ থেকেই ফ্যান ক্লাবের প্রতিষ্ঠা।
এই সংগঠনের সঙ্গে রয়েছেন ক্রীড়া, রাজনীতি, শিক্ষা সহ প্রায় সব জগতের লোকজনই। নিয়মিত নানা উদ্য়োগেও শামিল হতে দেখা যায় তাঁদের।
তবে খেলাধূলাউ প্রথম লক্ষ্য হলেও সামাজিক কাজেও তাঁরা অবশ্য পিছিয়ে আসেননি কখনওই। এবারও তাঁরা একইভাবে নিজেদের রীতি বজায় রাখলেন।