রাজ্যজুড়ে ১৫ সেপ্টেম্বর, আজ থেকে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসাবে চালু হল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৎপর খাদ্য দফতর। দুয়ারে রেশন ‘পাইলট প্রজেক্ট’-এর কর্মসূচি পরিদর্শন করতে রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় রেশন দোকানে যাচ্ছেন। জেলাস্তরে রেশন ডিলারদের নিয়ে বৈঠকও করে ফেলেছেন তাঁরা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে রেশনের সামগ্রী। আপাতত ১৫ শতাংশ রেশন ডিলার নিয়ে রাজ্যজুড়ে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসাবে চালু হয়েছে 'দুয়ারে রেশন' ব্যবস্থা। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ধীরে ধীরে সর্বোত্র এই প্রকল্প চালু করেতে চায় খাদ্য দফতর।
এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর দিকটি বিবেচনা করা হচ্ছে। উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি রেশনের সামগ্রী পৌঁছে দিতে ডিলারদের গাড়ি জোগাড় করতে বলা হয়েছে। পরবর্তিতে এই কাজের জন্য গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ডিলাররা সরকারি ভর্তুকিও পাবেন।
উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি রেশনের সামগ্রী পৌঁছে দিতে ডিলারদের অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে হবে। ফলে ডিলারদের খরচ আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই তাই প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমিশন বাড়াল রেশন ডিলারদের। বায়োমেট্রিক করতে হলে প্রতি কুইন্টালে আরও ২৫ টাকা মিলবে। বর্তমানে প্রতি কুইন্টালে ৭৫ টাকা করে কমিশন পান রেশন ডিলাররা৷ আপাতত সেই কমিশন বেড়ে ১২৫ টাকা হচ্ছে।
কীভাবে বাড়ির দরজায় পাওয়া যাবে রেশনের সামগ্রী? কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ধরে রাখতে ই-কেওয়াইসি ব্যবস্থা আগেই চালু করেছে খাদ্য দফতর। দুয়ারে রেশন পরিষেবার ক্ষেত্রেও 'পস' মেশিনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা মতো গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করে ছোট গাড়িতে করে রেশনের সামগ্রী তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন ডিলাররা।
রেশনের খাদ্য দেওয়ার আগে 'পস' মেশিনে গ্রাহককে আঙুলের ছাপ দিয়ে তাঁর Aadhaar নম্বর যাচাই করে নেওয়া হবে। রেশন কার্ডের প্রকৃত গ্রাহকের হাতেই রেশনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে কিনা, তা যাচাই করেই দেখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
'দুয়ারে রেশন' ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও পস' মেশিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রেও Aadhaar নম্বর লিঙ্ক করা জরুরি হয়ে পড়ছে। এর জন্য Digital Ration Card এবং Aadhaar নিয়ে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের কাছে যেতে হবে। রেশন দোকানের ‘ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস’ (ই-পস) যন্ত্রে এই সংযুক্তিকরণ হবে।