চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রামক! অধিকাংশ আক্রান্তের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ না থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনেকের মধ্যে। তাই বাড়ন্ত সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ পেতে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি করোনা টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই করোনা টিকাকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করাতে গিয়ে ডেট মিলছে না। অনেকেই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশনে তেমন স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। সব মিলিয়ে খুঁটিনাটি নানা সমস্যায় অনেকেরই টিকাকরণ হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে স্বস্তি মিলল কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে। নয়া সিদ্ধান্তে করোনা টিকাকরণের জন্য আর আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করার প্রয়োজন নেই। সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে নাম লিখিয়ে টিকা নিতে পারবেন ১৮ বছর ৪৪ বছর (অনূর্ধ্ব ৪৫) বয়সীরাও।
তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের এই সুবিধা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র সরকারি টিকাকেন্দ্রগুলিতেই। বেসরকারি ভাবে টিকা নিতে গেলে একই ভাবে অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে নাম নথিভুক্ত করে ডেট পেলে তবেই নেওয়া যাবে করোনার টিকা।
সম্প্রতি রুশ করোনা টিকা স্পুটনিক, মার্কিন সংস্থা ফাইজারের টিকা ভারতে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিললেও এখনও পর্যন্ত দেশের টিকাকেন্দ্রগুলিতে বিদেশি ভ্যাকসিন মিলছে না বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল।
এ দিকে দুই দেশীয় সংস্থা তাদের টিকার উৎপাদন ইতিমধ্যেই বাড়িয়েছে। ফলে শীঘ্রই টিকার জোগানের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ করোনা টিকার প্রায় দেড় কোটি ডোজ পেয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের হাতে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ করোনার টিকার ডোজ রয়েছে।
সম্প্রতি কেরল হাইকোর্টকে একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতে মোট যে পরিমাণ টিকা উৎপাদিত হচ্ছে তার ৫৭ শতাংশ পৌঁছচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে।
কেন্দ্রের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে মাসে সাড়ে ৮ কোটি করোনা টিকা উৎপাদিত হচ্ছে ভারতে। সেই হিসাবে রোজ গড়ে ২৮ লক্ষ ৩৩ হাজার টিকা তৈরি করছে ভারত। অথচ দেশে দৈনিক টিকাকরণ হচ্ছে ১২-১৩ লক্ষ। জুলাই থেকে এই সংখ্যা আরও অনেকটা বাড়বে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।