সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই মাস্ক করেন না। বাকি ৫০ শতাংশেরও অধিকাংশই ঠিক ভাবে মাস্ক পড়েন না। কেউ মাস্ক পরলেও উন্মুক্ত থাকে নাক, তো কারও মাস্ক ঝোলে থুতনির কাছে!
কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশের যে ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়মিত মাস্ক পরেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ সঠিক ভাবে নাক, মুখ ঢেকে মাস্ক পরেন!
ধরপাকড়, ‘কেস’ দিয়েও মানুষকে সচেতন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। যেমন, কলকাতাতেই বিগত এক সপ্তাহে ৬ হাজারেরও বেশি (প্রায় ৬,৭০০ জন) মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে পুলিস।
সূত্রের খবর, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জনেরও বেশি লোককে কোভিড বিধি না মানার অপরাধে ‘কেস’ জমা পড়ছে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানা এলাকায়।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাস্ক হাতে, পকেটে বা থুতনিতে ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য অনেককেই নিয়মিত সতর্ক করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন থানার হিসাব ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, পূর্ব ও উত্তর কলকাতা এবং উত্তর কলকাতা পেরিয়েই উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকায় উদাসীনতা, গাফিলতি এবং নিয়ম ভাঙার প্রবনতা বেশি।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৬ মে থেকে এ রাজ্যে কার্যত লকডাউন চলছে। জরুরি পরিষেবা বা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যান্য সমস্ত গাড়ির চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে।
কিন্তু সমস্ত বিধি-নিষেধ অমান্য করে, E Pass-এর তোয়াক্কা না করে মোটরসাইকেল, গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। গত ১৬ মে থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি গাড়ির এই অপরাধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
বিধি-নিষেধ অমান্য করে E Pass ছাড়া রাস্তায় নেমে সবচেয়ে বেশি নিয়ম ভাঙছে মোটরসাইকেল। বেহালা, ঠাকুরপুকুর, বন্দর এলাকায়, বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় এবং উত্তরের কিছু অংশে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। তাই অনিয়মে লাগাম টানতে আরও কড়া শাস্তি বা মোটা অঙ্কের জরিমানার কথা ভাবা হচ্ছে।