২০২০-র শেষে Google সার্চে সবচেয়ে বেশি খোঁজ করা হয়েছে বিমা বা ইনসিওরেন্সের খুঁটিনাটি বিষয়ে। এমনই নানা বিপর্যয় থেকে সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে বিমা বা ইনসিওরেন্সের কথা ভাবছেন প্রায় সকল মা-বাবাই।
করোনা মহামারির কারণে বিমা বা ইনসিওরেন্সের গুরুত্ব বুঝেছেন অনেকেই। তাই এখন হয়তো আর কেউই বিমাকে ‘অপচয়’ বা ‘বাজে খরচ’ বলে মনে করেন না।
করোনা মহামারির ফলে গুরুত্ব বেড়েছে স্বাস্থ্য বিমার। বিমা করার ক্ষেত্রে বিমা সংস্থা বিমাকারীর প্রফাইল নানা দিক দিয়ে বিবেচনা করে দেখে তবেই তার প্রিমিয়ামের অর্থ নির্ধারণ করে। একই রকম ভাবে স্বাস্থ্য বিমা করার আগে বিমাকারীকেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখে নিতে হবে।
অন্য সব বিমার মতোই স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রেও আনুষঙ্গিক খরচ ও অন্যান্য পরিস্থিতিগত সমস্যার কথা মাথায় রাখতে হবে। এর জন্য স্বাস্থ্য বিমা কেনার আগে ইনডেমনিটি (Indemnity) আর ফিক্সড বেনিফিট (Fixed Benefit Plan) বিমার কথা জেনে নেওয়া জরুরি।
ফিক্সড বেনিফিট প্ল্যান (Fixed Benefit Plan): হাসপাতালে চিকিৎসার খুচরো খরচের প্রয়োজনে, দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি সামলাতে বা বড় কোন অসুখের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় বাড়তি খরচ মেটাতে হলে স্বাস্থ্য বিমার সঙ্গে কিনতে হবে Fixed Benefit Plan।
ইনডেমনিটি বেসড হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যান (Indemnity Based Health Insurance Plan): যে কোনও স্বাস্থ্য বিমাই আসলে ইনডেমনিটি (Indemnity)। বিমা যত টাকারই হোক না কেন, এই ধরনের বিমার ক্ষেত্রে বিমার ঊর্ধ-সীমা বা সাম অ্যাসিওরড-এর শর্ত মেনে নির্দিষ্ট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ মিলবে। তার বাইরে এক টাকাও দেবে না সংস্থা। এ ছাড়াও সার্জিক্যাল গ্লাভস বা পিপিই-র মতো খরচ মিলবে না ইনডেমনিটি বেসড হেল্থ ইনসিওরেন্স প্ল্যানে। তাই স্বাস্থ্য বিমায় বুঝেশুনে টাকা ঢালুন।