নববর্ষ উপলক্ষে বাংলার সর্বত্র কেনাকাটা এখন জমজমাট। জামাকাপড়, গয়নাগাটি, শাক-সবজি, মাছ-মাংস ফুল, ফল— সব ক্ষেত্রেই চাহিদা আর দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী।
তবে দোকানদার থেকে সাধারণ ক্রেতা, সকলেরই কপালে ভাঁজ ফেলেছে ফুলের ব্যাপক দাম বৃদ্ধি। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে ফুলের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে।
পাঁচ টাকার গাঁদার মালা এখন ১২-১৫ টাকায় বিকোচ্ছে। বেলফুলের মালা ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা হয়েছে। রজনীগন্ধার মালা বিকোচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। জবার মালার দামও প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।
উৎসবের মেজাজে বিগত বেশ কয়েকদিনে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরের অনেক জায়গায় ফুলের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে। ফুলের জোগানেও সামান্য টান রয়েছে।
রাজ্যের ফুল চাষি ও বিক্রেতাদের মতে, উৎসবের মরসুমে জোগান আর চাহিদার মধ্যে ফারাক ব্যপক হারে বেড়ে যাওয়ায় দামও হু হু করে বাড়তে থাকে। এবারও একই কারণে দাম বাড়ছে ফুলের।
দোপাটি, গাঁদা, জবা, রজনীগন্ধা, পদ্ম, বেলফুলের দাম প্রায় দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। বালিগঞ্জের এক ফুল বিক্রেতার মতে, আগামী সপ্তাহেই উৎসবের রেশ কাটলে ফুলের দাম ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হাওড়ায় বাগনান-১ আর বাগনান-২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফুলের চাষ হয়। মরসুমি ফুলের পাশাপাশি এখানে সারা বছরই বিভিন্ন রকম ফুলের চাষ হয়। এখানে ফুলের উৎপাদন মোটামুটি একই রয়েছে।
তবে অকালবৃষ্টিতে গত বছরের শেষ থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল চাষের বেশ ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে বিগত কয়েক মাসে ফুলের জোগান কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। উৎসবের মরসুমে ফুলের ব্যাপক চাহিদার তুলনায় জোগান অপর্যাপ্ত। তাই দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।