Green Crackers: দীপাবলির মরসুম এসে গেছে এবং প্রতি বছরের মতো এবারও নিষিদ্ধ আতশবাজি, শব্দবাজির খবর চারিদিক থেকে আসতে শুরু করেছে। যদি প্রায় সব রাজ্যেই আতশবাজি পোড়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়।
তবে কিছু জায়গায় তা-ও নিষিদ্ধ আতশবাজি, শব্দবাজি ফাটানো হয়। যদিও বর্তমানে বাজারে গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব বাজি অনেক জায়গাতেই বিক্রি হয় বা পাওয়া যায়। তবে আপনি চিনবেন কী করে কোনটা গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব বাজি? জেনে নিন...
গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স কী?
গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব বাজির শব্দ, পোড়ানোর ধরণ এবং চেহারাতে তেমন কোনও পার্থক্য নেই। তবে এই ধরনের আতশবাজি পোড়ানোর ফলে সালফার এবং নাইট্রোজেন কম পরিমাণে নির্গত হয়। যার ফলে আর পাঁচটা সাধারণ বাজির তুলনায় এতে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দূষণ কম হয়।
পশ্চিমবঙ্গ দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব আতসবাজির ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে। এক্ষেত্রে গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমাও নির্ধারন করে দিয়েছে পর্ষদ।
রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব আতসবাজির ব্যবহারের অনুমোদিত সময়সীমা জেনে নেওয়া যাক...
দীপাবলির রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার জন্য গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব আতসবাজির ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, ছট পুজোর দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স ব্যবহার করা যাবে।
বাজারে পরিবেশবান্ধব সবুজ আতসবাজি চিনবেন কীভাবে?
SWAS, SAFAL এবং STAR এই তিনটি বিভাগে পড়ে শুধুমাত্র এমন আতশবাজি কিনুন। এগুলো তৈরি করেছে বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (CSIR)। SWAS, অর্থাৎ "নিরাপদ জল রিলিজার"-এ একটি ছোট জলের পকেট/ফোঁটা থাকা উচিত, যা ফেটে গেলে বাষ্প হিসাবে নির্গত হয়৷
এটি বাতাসে বাষ্প ছেড়ে আতশবাজি থেকে নির্গত ধুলোকে দমন করে। এটিতে পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার থাকে না এবং প্রায় ৩০ শতাংশ কণা ধূলিকণার নির্গমন হ্রাস করে।