এ বারের বাজেটে আয়করের নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলি ১ এপ্রিল, ২০২১ থেকে আয়করের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। চলুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর ছাড়ের ঘোষণা: ৭৫ বছর বা তার উর্ধ্বে পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে আর আয়কর দিতে হবে না। নতুন নিয়মে পেনশন আর সুদের থেকে পাওয়া অর্থের উপর নির্ভরশীল ৭৫ বছরের উর্ধ্বে প্রবীণদের আয়কর রিচার্নও জমা দিতে হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রবীণ নাগরিকদের আয়করের ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।
ছাড়ের উচ্চ সীমা: একজন প্রবীণ নাগরিক তাঁর ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর ছাড় পান। অর্থাৎ, একজন প্রবীণ নাগরিক অন্যান্যদের তুলনায় ৫০,০০০ টাকার অতিরিক্ত সুবিধা পান। একজন অতি প্রবীণ নাগরিক তাঁর ৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রেও আয়কর ছাড় পান।
আয়কর রিটার্নের ফাইলিং বা নথিপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়: আয়কর রিটার্নের ফাইলিং বা নথিপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের। তাঁদের ক্ষেত্রেও এখন ই-ফাইলিং-এর সুবিধা রয়েছে।
চিকিৎসা বিমা সংক্রান্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা: আয়কর আইনের 80DDB ধারা অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিকরা চিকিৎসা বিমা সংক্রান্ত ব্যয় হিসাবে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদানের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
অগ্রিম আয়কর (advance tax) প্রদান থেকে মুক্তি: ধারা আয়কর আইনের 207 ধারা অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিকদের আগাম আয়কর প্রদান করার থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, দেশের কোনও প্রবীণ নাগরিক, যাঁর ব্যবসা বা অন্য কোনও পেশা থেকে কোনও আয় নেই, তাঁকে আগাম আয়কর দিতে হবে না।
আইটি আইনের ১৯৪-এ ধারা অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিককে ব্যাংক, ডাকঘর বা সমবায় ব্যাংক থেকে পাওয়া ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদের অঙ্কে কোনও TDS কাটা হয় না। অর্থাৎ, ব্যাংক, ডাকঘর থেকে পাওয়া ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদের অঙ্কে সরাসরি কর ছাড়ের সুবিধা পান প্রবীণ নাগরিকরা।