২০২০ সাল আমাদের প্রায় সকলের জন্য আর্থিক ভাবে সঙ্কটের বছর ছিল। আপনার আয় ও ব্যয় ভারসাম্য বজায় রাখতে এখানে ২০২১ সালের জন্য কয়েকটি সহজ আর্থিক পরিকল্পনা ও সংকল্প (রেজোলিউশন) উল্লেখিত হল এই প্রতিবেদনে।
বিপদ কখনও বলে কয়ে আসে না। বিপর্যয় যে কোনও সময় ঘটতে পারে। তাই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত আর্থিক সঙ্গতি থাকার প্রয়োজন। তাই সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে।
আর্থিক সঙ্কটের থেকে মুক্তি পেতে সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট হতে হবে। সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য ঋণের বোঝা কমানো জরুরি। তাই ঋণের বোঝা কমানোর জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য ঋণের বোঝা কমানোর পাশাপাশি ব্যয় সংকোচের পরিকল্পনা করা জরুরি। আয় বুঝে সঞ্চয় নিশ্চিত করে তবেই খরচের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। কখনওই উপার্জনের এক তৃতীয়াংশের বেশি যাতে খরচ না হয়, সেই মতো পরিকল্পনা করা যেতে পারে।
শুধু উপার্জন নয়, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে বিনিয়োগ এবং সঞ্চয় অত্যন্ত জরুরি। যাঁদের বিনিয়োগ সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই, তাঁদের মিউচাল ফান্ডে বিনিয়োগ করাই সুবিধাজনক।
যদি বিনিয়োগ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকে, তাহলে সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP)-র ভরসা করতে পারেন। মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP)-তে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করে ভাল রিটার্ন পেতে পারেন। মাসিক মাত্র ১০০০ টাকার বিনিয়োগেই ভাল রিটার্ন পেতে পারেন।
বিনিয়োগের মোট অর্থ ছোট ছোট অঙ্কে ভেঙে ভাগ করে ফেলতে পারলে সঠিক রিটার্নের সম্ভাবনা বেশি থাকে। পাশাপাশি ক্ষতির ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। অতিরিক্ত লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে ঋণ নিয়ে বা ধার করে বিনিয়োগ করবেন না। এই ধরনের পরিকল্পনা অত্যন্ত বিপজ্জনক!
জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগ করুন। এই বিমা আপনার জীবনের ও পরিবারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করবে। তবে জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগের আগেও অন্যান্য শর্ত ও মাসিক কিস্তির পরিমাণ সম্পর্কে ভাল ভাবে জেনে নিতে হবে।