আপনি নিশ্চয়ই নীল, হলুদ, সাদা বা হালকা গোলাপি রঙের ট্যাবলেট অনেকবার দেখেছেন। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন একেকটা ওষুধের একেক রকম রং কেন হয়? কোনওটা লাল, কোনওটা গোলাপি, কোনওটা আবার হলুদ রঙের। ওষুধগুলোকে রঙিন করার পেছনে কারণ কী?
শুধু রং কেন, ওষুধের আকার-আকৃতিতেও তারতম্য দেখা যায়। কোনওটা ‘হার্ট শেপ’, কোনওটা বৃত্তাকার বা কোনটা চৌক আকৃতির হয়। ওষুধের এই বিভিন্ন আকৃতির পিছনেও সুনির্দিষ্ট কারণ, বিজ্ঞান রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। ক্যাপসুল, ট্যাবলেটের বিভিন্ন রং আর আকৃতির পিছনের আসল কারণগুলি জেনে নিন...
বেশিরভাগ ট্যাবলেটের রঙ সাদা, তবে কিছু রঙিনও হয়। যে রাসায়নিক বা ওষুধ থেকে ওই ট্যাবলেট তৈরি করা হয়, সেটার উপরই নির্ভর করে ওই ওষুধের রং কেমন হবে। অর্থাৎ, কোনও ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মূল রাসায়নিকের রং যেমন হবে, ওষুধও তৈরি হবে ঠিক সেই রঙেই।
যেমন, বারবেরিন নামের অ্যামোনিয়াম লবণের রং হলুদ। তাই বারবেরিন ব্যবহার করে তৈরি ওষুধের রংও হলুদ হয়। একই কারণে কার্বন ট্যাবলেটের রং কালো হয়।
আসলে, ওষুধের রঙের ভিত্তিতে ওষুধে ব্যবহৃত উপাদান সনাক্ত করতে সুবিধা হয়। তাই ওষুধে ব্যবহৃত রংও ওষুধে থাকা মূল রাসায়নিক উপাদানের রঙের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়ে থাকে।
এবার জেনে নেওয়া যাক ট্যাবলেটের বিভিন্ন আকারের পিছনের আসল কারণ। ট্যাবলেটের আকার তার ডোজের উপর নির্ভর করে। তবে ট্যাবলেটের আকার-আকৃতি দেওয়ার সময় খুব যত্ন নেওয়া হয়। ট্যাবলেট খাওয়ার সময় যাতে সেটি গলায় আটকে যায় না, তাই এর কিনারাগুলি সর্বদা গোলাকার তৈরি হয়। এর ফলে ওষুধ গিলে ফেলতে সুবিধা হয়।
ফার্মা কোম্পানিগুলির বিপণন কৌশলের উপরেও কোনও ট্যাবলেটের আকার-আকৃতি নির্ভর করে। অনেক ফার্মা কোম্পানির ওষুধের নির্দিষ্ট আকারই তার পরিচয় বহন করে। অনেক ক্ষেত্রে ফার্মা কোম্পানি তার লোগোর আকৃতি অনুযায়ী ওষুধের আকার নির্ধারণ করে। যে কারণে একেক সংস্থার তৈরি ওষুধের আকার-আকৃতিও ভিন্ন ভিন্ন হয়।