কেনাকাটার সময়ে হাতে নগদ টাকা না থাকলেও সমস্যা নেই। আপনি চাইলে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে পারেন। সেই সঙ্গে ইএমআইয়ের মাধ্যমেও মাসে মাসে টাকা জমা দিতে পারেন। (সব ছবি প্রতীকী গেটিইমেজেস)
আদতে এটা একধরনের লোন। আপনি চাইলে এই কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে পারেন। সেই টাকা ব্যাঙ্ক থেকেই নিতে পারেন। পরে নির্দিষ্ট সময়ে এই টাকা ব্যাঙ্কে ধাপে ধাপে ফেরত দিতে হয় সুদ মারফত। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দেয়। সেইসঙ্গে এসবিআই, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কেও এই সুবিধা রয়েছে।
তবে এখনকার দিন একেবারে টাকা দিয়ে বরং ইএমআই সিস্টেমের মাধ্যমেও পেমেন্ট করা হয়। এতে মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়।
আপনার কার্ডটি ইএমআইয়ের সুবিধা দিতে পারবে কিনা সেটা জানতে ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট নম্বরে মেসেজ করতে হয়। কিংবা অনেক সময়ে কোনও পণ্য কেনা হলে সংস্থার পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
এতে বড় সুবিধা আপনার অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা কাটায় খুব বড় সমস্যা হয় না। কোনও প্রসেসিং ফি ব্যাঙ্কগুলি নেয় না। এই সুদটি সাধারণত বছরে ১৩ থেকে ১৬ শতাংশ নেয়। অনেক ক্ষেত্রে নো কস্ট ইএমআই-ও থাকে।
ডেবিট কার্ডের জন্য ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়। কোথাও অনলাইনে ডেবিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। সেখানে আবেদন করলে যাচাইয়ের পরে গ্রাহকের কাছে ডেবিট কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়।
শপিংয়ের পরে আপনার মনে রাখতে হবে যে নির্দিষ্ট তারিখে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ইএমআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়। তাই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা আছে কিনা, তাই না আপনার অ্যাকাউন্টটিকে ডিফল্ট হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ইএমআই সময় মতো না দিলে জরিমানা দিতে হয়। এইচডিএফসি এবং এসবিআই ব্যাঙ্কে জরিমানা বাবদ ৫০০ টাকা ও জিএসটি কেটে নেওয়া হয়।