বাংলার সমস্ত মানুষকে নিখরচায় সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আনতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী বা যে কোনও কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি হেলথ কার্ড সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, এখন থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বা কেন্দ্রের সিজিএইচএস কার্ড অথবা ইএসআই কার্ড দেখাতে হবে।
কারও কাছে যদি হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে, তাহলে তিনি কি চিকিৎসা পাবেন না? আধার নম্বর দিয়ে স্বাস্থ্য কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। এছাড়াও রাজ্য সরকার অথবা, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তরফেই রোগীর পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে।
কার্ডের ৫ লক্ষ টাকা শেষ হয়ে গেলে কি সরকারি হাসপাতালেও নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে না? কোনও পরিবারের একজন সদস্যের চিকিৎসায় যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পরিবারের বাকি সদস্যরা কি সরকারি হাসপাতালেও আর বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন না?
এ প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করছে। স্বাস্থ্যসাথী একটা তৃতীয় পক্ষের (থার্ড পার্টি) ব্যবস্থা। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে রোগীর হাতে টাকা থাকাটা জরুরি নয়।
তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও রাজ্যের যে কোনও সরকারি হাসপাতালেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই চিকিৎসা মিলবে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কোনও রোগীকে ফেরাতে পারবে না রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিও। ইতিমধ্যেই কলকাতার তিন-চারটি কর্পোরেট হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজি হয়েছে।
তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে টাকা থাকলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসা করাতে পারবেন, আর টাকা ফুরিয়ে গেলেও সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সরকারি হাসপাতালগুলির দরজা সব সময় খোলা থাকছে।