দেশে সরকারি-বেসরকারি কাজের ক্ষেত্রে ঘুষ, দুর্নীতির ঝুঁকি চিন, পাকিস্তান, নেপাল বা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে অনেক কম। এমনটাই জানাচ্ছে TRACE-এর এ বারের প্রকাশিত তালিকা আর রিপোর্ট।
যদিও গত বছরের তুলনায় এ বছরে ভারতে কাজের ক্ষেত্রে ঘুষ, দুর্নীতির ঝুঁকি কিছুটা বেড়েছে। সেই কারণেই TRACE-এর ২০২১-এর তালিকায় গত বছর ৭৭ নম্বরে থাকা ভারত এ বার ৮২ নম্বরে নেমে এসেছে।
TRACE-এর এই ব্যবসায়িক ঘুষের ঝুঁকি মূল্যায়নের বৈশ্বিক তালিকায় মোট ১৯৪টি দেশ, অঞ্চল এবং স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ব্যবসায়িক ঘুষের ঝুঁকি সংক্রান্ত তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া, তুর্কমেনিস্তান, ভেনিজুয়েলা এবং ইরিত্রিয়ায় বাণিজ্যিক ঘুষ, দুর্নীতির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। পাশাপাসি ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং নিউজিল্যান্ডের এই ঝুঁকি সবচেয়ে কম।
TRACE-এর এই মূল্যায়নের মূল চারটি ভিত্তি রয়েছে। সরকারের সাথে ব্যবসায়িক আদান-প্রদান, ঘুষ বিরোধী প্রতিরোধ এবং প্রয়োগ, সরকার ও সিভিল সার্ভিসের স্বচ্ছতা এবং মিডিয়ার ভূমিকা সহ নাগরিক সমাজের তদারকি করার ক্ষমতা— মূলত এই চারটি বিষয় বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়।
TRACE-এর এই মূল্যায়নের রিপোর্ট মূলত ২০১৪ সালে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক ঘুষের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও নির্ভরযোগ্য এবং সূক্ষ্ম তথ্যের জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয়তার মোকাবেলা করার জন্য প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
TRACE রাষ্ট্রসংঘ, বিশ্বব্যাংক, গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-সহ জনস্বার্থে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।
গত পাঁচ বছরে বাণিজ্যিক ঘুষের ঝুঁকির কারণগুলি উন্নত করার ক্ষেত্রে যে দেশগুলি সেরা পারফর্ম করেছে সেগুলি হল উজবেকিস্তান, গাম্বিয়া, আর্মেনিয়া, মালয়েশিয়া এবং অ্যাঙ্গোলা৷