পেট্রোল-ডিজেলের দাম উর্ধ্বমুখী। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। সব মিলিয়ে নাজেহাল মধ্যবিত্তের জীবন। জুলাইয়ের প্রথম দিনই সিলিন্ডার পিছু রান্নার গ্যাসের দাম ফের বেড়েছে।
গত ১ অগাস্ট মধ্যরাত থেকে বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম ৭৩ টাকা ৫০ পয়সা করে বেড়েছে। পরে ১৭ অগাস্টে ভর্তুকিহীন ডোমেস্টিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ২৫ টাকা। সেপ্টেম্বরের পয়লা তারিখ থেকে ফের ২৫ টাকা বাড়ল ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম।
এই দাম বৃদ্ধির পর দেশের রাজধানী শহর দিল্লিতে ভর্তুকিহীন ডোমেস্টিক রান্নার গ্যাসের নতুন দাম ৮৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। ভুবনেশ্বর আর কলকাতায় ভর্তুকিহীন ডোমেস্টিক LPG সিলিন্ডারের দাম ৯১১ টাকা। শেষ ১৭ দিনে ৫০ টাকা বাড়ল ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম।
এক বছর আগে ১ অগাস্ট, ২০২০ সালে দেশের রাজধানী দিল্লি আর মুম্বাইতে ভর্তুকিহীন ডোমেস্টিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ৫৯৪ টাকা। কলকাতায় ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬২১ টাকা, চেন্নাইতে দাম ছিল ৬১০ টাকা ৫০ পয়সা।
বিগত ১০ মাসে ২৯০ টাকা বেড়েছে ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম! শুধু রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিই নয়, কেন্দ্র সরকার করোনার সময় সিলিন্ডারের ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে রান্না করার জন্য গ্যাস জ্বালাতে ট্যাঁকে রীতিমতো টান পড়ছে আম জনতার।
এক বছর আগে ১ অগাস্ট, ২০২০ সালে দেশের রাজধানী দিল্লি আর মুম্বাইতে ভর্তুকিহীন ডোমেস্টিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ৫৯৪ টাকা। কলকাতায় ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬২১ টাকা, চেন্নাইতে দাম ছিল ৬১০ টাকা ৫০ পয়সা।
শুধু রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিই নয়, কেন্দ্র সরকার করোনার সময় সিলিন্ডারের ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে রান্না করার জন্য গ্যাস জ্বালাতে ট্যাঁকে রীতিমতো টান পড়ছে আম জনতার। বর্তমানে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির সুবিধা শুধুমাত্র প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কিছু জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি দিয়েছিল ২৯ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে তা কমে ২৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। চলতি অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্র হিসেবে ১২৪০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
সব মিলিয়ে অগ্নিমূল্য রান্নার গ্যাসে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলিও কেন্দ্রের উজ্জ্বলা গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করে খড়, কাঠ-কুটো দিয়েই রান্না করার পুরনো অভ্যাসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে।