এখনকার দিনে বেশিরভাগ বাড়িতেই রান্নার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে কেন্দ্র সরকারের উজ্জ্বলা প্রকল্প গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাওয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার ঘরে ঘরে।
তবে অনেকে অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ফলে বাজেট পেরিয়ে যায়। পকেটের টাকা খরচ হয়। এর কারণ হল গ্যাসের অপচয় বা ঠিকমতো ব্যবহার করতে না জানা।
তবে বেশকিছু টিপস মেনে চললে সহজেই গ্যাস বাঁচানো যায়। কম খরচ হয়। কীভাবে ব্যবহার করলে রান্নার গ্যাস কম খরচ হবে? আসুন জেনে নিই।
রান্নার জন্য চেষ্টা করুন বেশি করে প্রেসার কুকার ব্যবহারের। সাধারণ পাত্রের তুলনায় এতে রান্না দ্রত হয়। ছোটো পরিবারের জন্য ৩-৫ লিটার এবং বড় পরিবারের জন্য ৭-১০ লিটারের কুকার বেছে নিতে পারেন।
বার্নার বেশি নোংরা থাকলে গ্যাস খরচ বেড়ে যায়। কারণ বার্নারে ময়লা জমে থাকলে গ্যাস বেরোতে পারে না স্বাভাবিক গতিতে। তখন নীলের বদলে হলুদ গ্যাস জ্বলে।
সেজন্য প্রতি সপ্তাহে ব্রাশ দিয়ে বার্নার পরিষ্কার করা প্রয়োজন। বার্নারের ছিদ্রগুলো ছুঁচ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। তাহলে ভালো জ্বলবে। উপকার পাবেন।
ঢাকনা ছাড়া রান্না করলে তাপ বেরিয়ে যায়, রান্না শেষ হতেও সময় বেশি লাগে। তাই খাবার ঢেকে রান্না করুন। ডাল ও সবজি রান্না করার সময় ঢাকনা ব্যবহার করুন। শক্ত ঢাকনা ভেতরে তাপ ধরে রাখে, যা খাবার দ্রুত এবং সঠিকভাবে রান্না করতে সাহায্য করে।
অনেকে ভাবেন আঁচ বেশি করে দিলে রান্না ভালো হয় বা তাড়াতাড়ি হয়। এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। কম আঁচে রান্না করলেও তা সুস্বাদু হয় আবার গ্যাসও কম খরচ হয়।
রান্না বিশেষে মাঝারি আঁচে রান্না করতে পারেন। তারপর আঁচ কমিয়ে দিতে পারেন। তাহলে গ্যাস কম খরচ হবে।
অনেকে রান্নার আগে থেকেই গ্যাস জ্বালিয়ে দেন। সেটা করবেন না। আগে রান্নার সব উপকরণ তৈরি করুন। তারপরই গ্যাস জ্বালান।