দেশজুড়ে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এখন করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণে দোসর হাসপাতালে অক্সিজেন আর বেডের আকাল!
বাংলায় অক্সিজেনের ঘাটতি না থাকলেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই কমছে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে রাজ্যের ৪৯টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে।
রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় ১৪০০ বেড করোনার জন্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ আর ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে বেড বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে।
স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় এপ্রিলের শেষেই রাজ্যের ৪৯টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে ৫ হাজার ৬৭৩টি বেড বাড়ানো হয়েছিল।
রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ১০০টি করে এবং প্রতিটি জেলা, মহকুমা এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ৫০টি করে বেড কোভিড চিকিৎসার জন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার বেড রয়েছে। এর মধ্যে কোভিড বেড রয়েছে ১৩,২১০টি। এই কোভিড বেডের সংখ্যাই বাড়িয়ে অন্তত ৩৫-৪০ হাজারে নিয়ে যেতে চাইছে রাজ্য সরকার।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলির পাশাপাশি ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম আর সায়েন্স সিটির কাছে একটি বেসরকারি সংস্থার অব্যবহৃত অফিসে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং সেফ হোম হিসাবে চালু করেছে।
কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে ৪২৫টি, বেলেঘাটা আইডিতে ৩১৫টি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৩৩০টি, যাদবপুর টিবি হাসপাতালে ১৩০টি, মানিকতলা ESI-তে ৫০টি, আরজি করে ৬০টি, শিয়ালদহ ESI-তে ৫০টি, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে ১০৩টি, এনআরএস-এ ১১০টি কোভিড বেড রয়েছে।
কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে আমরিতে ২৫টি, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ২৩টি, KPC মেডিকেল কলেজে ২০০টি আর ডিসানে ২৫টি কোভিড বেড রয়েছে।
SSKM-এর প্রশাসনিক আওতায় থাকা শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কোভিড বেডের সংখ্যা ৯০টি। এছাড়াও এখানে অন্তত ৩০টি CCU বেড চালু করার করা হয়েছে।