দেশে যখন ইন্টারনেট, ইমেলের সুবিধা ছিল না, তখন ডাকঘরই ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। পোস্ট অফিসে মানুষের ভিড় উপচে পড়ত। খামে মোড়া একটি চিঠির অপেক্ষায় থাকতেন কত মানুষ। এখন সময় বদলেছে। পোস্ট অফিসে আর চিঠি আদানপ্রদান হয় না। হলেও তা নগন্য মাত্র। চিঠির ভিড় কমলেও পোস্ট অফিসে অর্থ সঞ্চয়ের জন্য ভিড় এখনও বহাল রয়েছে।
নিরাপদ বিনিয়োগের সঙ্গে আরও ভালো রিটার্ন পেতে হলে পোস্ট অফিসে এমন অনেক আকর্ষণীয় প্রকল্প রয়েছে। পোস্ট অফিসের গ্রাম সুরক্ষা প্রকল্পে, ঝুঁকি ছাড়াই ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। এই প্রকল্পে অল্প অর্থ বিনিয়োগ করে মোটা অঙ্কের টাকা জমা রাখতে পারেন।
এই প্রকল্পে প্রতিদিন বিনিয়োগ করলে একসঙ্গে ৩৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে পারেন। পোস্ট অফিসের গ্রাম সুরক্ষা যোজনায় রিটার্নের পাশাপাশি, জীবন বিমার সুবিধাও পাওয়া যায়।
গ্রাম সুরক্ষা প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করতে হলে বিনিয়োগকারীর বয়স ১৯ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এতে ১০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এর প্রিমিয়াম মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিকভাবে শোধ করতে পারেন।
পলিসি কেনার ৪ বছর পর এর থেকে ঋণ নিতে পারেন। এই স্কিমের অধীনে, আপনি যদি ১৯ বছর বয়সে ১০ লক্ষ টাকার গ্রাম সুরক্ষা যোজনা কিনে থাকেন, তাহলে ৫৫ বছরের জন্য আপনাকে প্রতি মাসে ১৫১৫ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। ৫৮ বছরের জন্য ১৪৬৩ টাকা এবং ৬০ বছরের জন্য ১৪১১ টাকা জমা দিতে হবে। এই স্কিমের অধীনে, বিনিয়োগকারীকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ টাকা অর্থাৎ মাসে ১৫০০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে।
রিটার্নের সময়, বিনিয়োগকারী ৫৫ বছরের জন্য ৩১.৬০ লক্ষ টাকা, ৫৮ বছরের জন্য ৩৩.৪০ লক্ষ টাকা এবং ৬০ বছরের জন্য ৩৪.৬০ লক্ষ টাকা পাবেন। গ্রাম সুরক্ষা যোজনার অধীনে, ৮০ বছর বয়সী হলে এই অর্থের পরিমাণ হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে, যদি ব্যক্তি মারা যায়, তবে ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারীর কাছে এই অর্থ যায়।
গ্রাহক ৩ বছর পর পলিসি তুলে ফেলতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে খুব একটা লাভজনক হবে না। পলিসির সবচেয়ে বড় হাইলাইট হল ইন্ডিয়া পোস্টের দেওয়া বোনাস এবং সর্বশেষ ঘোষিত বোনাস অনুযায়ী, প্রতি বছর ১,০০০ টাকায় ৬০ টাকা পাওয়া যাবে। আরও তথ্যের জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিসে (ভারতীয় পোস্ট) যোগাযোগ করতে পারেন।