হাঁস, মুরগি বা কচি পাঁঠা নয়, বাংলার গ্রামের মানুষকে স্বনির্ভর করতে গাড়ল চাষে উৎসাহ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
—প্রতীকী ছবি।
গাড়ল আসলে শঙ্কর প্রজাতির ভেড়া। স্বাদে কচি পাঁঠার মাংসের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। তবে গাড়লের মাংসে খাসির মাংসের মতো কটু গন্ধ নেই। দামও খাসির মাংসের চেয়ে কেজিতে প্রায় দেড়শো টাকা কম!
—প্রতীকী ছবি।
দামে কম, স্বাদও ভাল। তাই ক্রমশ বাড়ছে গাড়লের মাংসের চাহিদা। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে গাড়ল। তাই রাজ্য সরকার বাংলার গ্রামাঞ্চলের মানুষকে গাড়ল চাষে উৎসাহ দিচ্ছে।
—প্রতীকী ছবি।
কেন ইদানীং গাড়ল চাষে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতর? গাড়ল চাষে খরচ নামমাত্র! কারণ, এরা তৃণভোজী। ঘাস, পাতা খেয়েই বাঁচে। গাড়লের রোগ-ভোগের ঝুঁকি অনেক কম। তাই চিকিৎসার খরচ প্রায় নেই বললেই চলে!
—প্রতীকী ছবি।
এ ছাড়া, গাড়ল বছরে সাধারণত দু’বার গড়ে দু-তিনটি করে বাচ্চা দেয়, বাড়েও তাড়াতাড়ি। কচি পাঁঠা বা খাসির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ মাংস পাওয়া যায় গাড়লের থেকে। তাই আর্থিকভাবে অনেকটাই সুবিধা পাওয়া যায়।
—প্রতীকী ছবি।
চলতি আর্থিক বছরে গাড়ল চাষকে উৎসাহ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১.৩৭ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য এসেছে। গাড়লের চাষকে জনপ্রিয় করে তুলতে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরও কোমর বেঁধে নেমেছে।
—প্রতীকী ছবি।
সামান্য লবনাক্ত মাটিতে গাড়লের চাষ ও বৃদ্ধি ভালে হয়। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংলগ্ন এলাকায় এই চাষের চল ছিলই। তবে বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই গাড়লের চাষকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতর।
—প্রতীকী ছবি।