রান্নার গ্যাস আর অন্যান্য পেট্রোপণ্যের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কেন্দ্রের কোষাগারে জমা শুল্কের পরিমাণ। গত ৯ মাসে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের উপর উৎপাদন শুল্ক বাবদ ৩ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় কোষাগারে, যা বিগত ৭ বছরে সর্বোচ্চ!
রান্নার গ্যাস, প্রেট্রোল-ডিজেলের বাড়ন্ত দামে যখন দেশজুড়ে মধ্যবিত্তদের পকেটে টান পড়েছে, হাঁসফাস অবস্থা আম জনতার, তখনই এই তথ্য প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
ফেব্রুয়ারিতে মোট ১০০ টাকা বেড়েছিল গ্যাসের দাম। মার্চের শুরুতেই এক লাফে আরও ২৫ টাকা ফের বাড়ল ডোমেস্টিক LPG সিলিন্ডারের দাম। সব মিলিয়ে বিগত ২৯ দিনে ১২৫ টাকা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম! গত তিন মাসে ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে LPG-র!
৩০ নভেম্বর, ২০২০-তে যেখানে ডোমেস্টিক LPG সিলিন্ডারের দাম ছিল ৫৯৪ টাকা, সেখানে ১ মার্চ ৮১৯ টাকায় কিনতে হচ্ছে রান্নার গ্যাস (LPG-র দাম দিল্লির হিসাবে)। অর্থাৎ, ডিসেম্বর, জানুযারি আর ফেব্রুয়ারি— এই তিন মাসেই রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে ২২৫ টাকা।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী জানান, বিগত ৭ বছরে কেন্দ্রীয় কোষাগারে পেট্রোপণ্য থেকে সংগৃহীত শুল্কের পরিমাণ ৪৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, বর্তমানে কেন্দ্র লিটার প্রতি পেট্রোলে ৩২.৯০ টাকা, ডিজেলে লিটার প্রতি ৩১.৮০ টাকা উৎপাদন শুল্ক নিয়ে থাকে। এই উৎপাদন শুল্ক বাবদ প্রতিমাসে কেন্দ্রীয় কোষাগারে ৩৩ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ে।
গত তিন মাসে ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে LPG-র! নভেম্বর, ২০২০-এর পর থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত মোট ২২৫ টাকা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের (ডোমেস্টিক সিলিন্ডার) দাম। ১ মার্চ, ২০১৪-এ রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৪১০.৫০ টাকা, এ বছর মার্চে যা ৮১৯ টাকায় পৌঁছেছে।
শুধু গ্যাসের দামে নয়, প্রেট্রোল-ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় শুল্কের বোঝা বেড়েছে অনেকটাই। হিসাব বলছে, ২০১৮-এ পেট্রোলে কেন্দ্রীয় শুল্কের পরিমাণ ছিল প্রতি লিটারে ১৭.৯৮ টাকা আর প্রতি লিটার ডিজেলে ১৩.৮৩ টাকা। বর্তমানে এই শুল্কের পরিমাণ যথাক্রমে ৩২.৯০ টাকা (পেট্রোলে) আর ৩১.৮০ (ডিজেলে) টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দু’বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে তেলের উপর কেন্দ্রীয় শুল্কের পরিমাণ।