নতুন বছরে বেকারত্বের সমস্যা কাটিয়ে যখন একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ভারত, তখনই ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের করোনা সংক্রমণ! ফলে ফের রুজি-রুটি নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় গোটা দেশ।
দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ চলছে জানুয়ারি থেকেই। এখনও দেশের একটা বড় অংশেরই করোনার টিকা নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যে খেটে খাওয়া মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন ফের দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনের আশঙ্কায়।
করোনার ভয়াবহতা ও দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনের অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় ভিন রাজ্যের চাকরির সুযোগ পেয়েও তা ফেরাচ্ছেন অনেকে। সব মিলিয়ে হু হু করে বাড়ছে দেশের বেকারত্বের হার!
অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বেকারত্বের হার বর্তমানে ৭.১৩। মার্চে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫২ শতাংশ।
ডিসেম্বরে বেকারত্বের হারে বিহার, ঝাড়খণ্ডের চেয়েও পিছনে ছিল বাংলা। বেকারত্বের হারে দেশের ৬ নম্বরে ছিল এ রাজ্যের নাম। কিন্তু নতুন বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে এ রাজ্যের বেকারত্বের হার!
ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার ছিল ৬.২ শতাংশ যা জানুয়ারির তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। মার্চ মাসে এ রাজ্যের বেকারত্বের হার ১.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫ শতাংশে। ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তাই আগামী দিনে এ রাজ্যে বেকারত্ব আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যগুলির মধ্যে হরিয়ানার বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। এ রাজ্যে বেকারত্বের হার ২৮.১ শতাংশ। বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে বেকারত্বের হার ১৪.৫ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ১২.৮ শতাংশ, ওড়িশায় বেকারত্বের হার মাত্র ১.৬ শতাংশ।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের আর এক প্রতিবেশী রাজ্য অসমে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১.১ শতাংশ এবং ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার ১৩.৯ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, করোনা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে শুধু দিল্লি, মহারাষ্ট্রেই নয়, ফের লকডাউনের পথে এগোতে হতে পারে গোটা দেশকেই। গত বছরের পরিস্থিতির নিরিখে তাই আগামী দিনে দেশের বেকারত্বের হার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের!