রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী করোনা বিধি না মানায় কোভিড ডিজাষ্টার এনফোর্সমেন্টের হাতে গ্রেপ্তার আলিপুরদুয়ার শহরের ২১ জন ব্যবসায়ী।
রবিবার দুপুর বারোটার পর আলিপুরদুয়ার শহরের প্রধান তিনটি বাজারে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আচমকাই অভিযান চালায় কোভিড ডিজাষ্টার এনফোর্সমেন্টের আধিকারিকরা।
শহরের তিনটি বাজার সহ বক্সা ফিডার রোডের ধারে দোকান থেকে ছয় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আলিপুরদুয়ার থানায় নিয়ে আসা হয়।এনফোর্সমেন্টের দলটি প্রথমে ট্রান্সপোর্ট বাজারের অভিযান চালায়। সেখান থেকে মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্টের দলটি।
এরপর বক্সা ফিডার রোডের ধারে বেশ কিছু খোলা দোকানে অভিযান শুরু করে। বক্সা ফিডার রোডের ধারে চারটি খোলা দোকান থেকে মোট ছয় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আলিপুরদুয়ার থানায় নিয়ে আসা হয়।
সেখান থেকে ফের নিউটাউন বাজারে অভিযান শুরু করে এনফোর্সমেন্টের দলটি। নিউটাউন বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও এনফোর্সমেন্টের দল।
এরপর সেই দলটি শহরের বড় বাজারের অভিযান চালু করে।বড় বাজারের তখনও বেশ কিছু বাজার খোলা ছিলো।বড় বাজার থেকে নয় জনকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা।
শহরে আচমকাই পুলিশ ও এনফোর্সমেন্ট করোনা নিয়মবিধি অমান্যকারীরদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা গোটা শহরের যে যার দোকান বন্ধ করতে শুরু করে দেয়।
যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে তৃতীয় ঢেউ প্রায় আসন্ন তখন মানুষকে সচেতন করতে মরিয়া প্রশাসন।নানা ভাবে সচেতনতার প্রচার চালানোর পরেও কিছু ব্যবসায়ীর আইন ভাঙার প্রবণতা রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ, প্রশাসন। ধৃতদের আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মোটা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে এনফোর্সমেন্টের তরফে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অতিমারি আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
আলিপুরদুয়ার কোভিড ডিজাষ্টার এনফোর্সমেন্টের সুপারভাইজার সুব্রত সরকার জানান জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই ধড়-পাকড় চলছে। মানুষ কিছুতেই সতর্ক হচ্ছেন না। ধৃতদের বিরুদ্ধে মহামারি আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পুলক মিত্র বলেন কিছু ব্যবসায়ীদের বলেও কোন কাজ হচ্ছে না। আইন আইনের পথে চলবে।