এক রাতের নোটিশেই ডুয়ার্সের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার খবরে এবার ক্ষোভ ছড়ালো আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
সোমবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর রেঞ্জ অফিসে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখায় পর্যটনকারবারী এবং হোটল, রিসর্ট, হোমস্টের মালিকরা।
রবিবার বিকেলে নবান্নের নোটিশের পরেই সোমবার সকাল থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জিপ সাফারি বন্ধ করে দেয় বন দপ্তর।বন দপ্তরের এই সিদ্ধান্তেই বিপাকে পড়েন অনলাইনে জিপসি সাফারির টিকিট কেটে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। এরপরেই বিক্ষোভ শুরু হয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে আলিপুরদুয়ার জেলার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন মানচিত্রে জলদাপাড়া এবং বক্সার জাতীয় উদ্যান রয়েছে।
সেই সঙ্গে বক্সা টাইগার রিজার্ভও রয়েছে। রয়েছে আর্ন্তজাতিক ভারত-ভুটান সীমান্ত। যা বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় বলেই গণ্য় হয়।
আলিপুরদুয়ার জেলায় বক্সা, জলদাপাড়া, চিলাপাতা, রাজাভাতখাওয়াতে জঙ্গল সাফারি হয়। এই জঙ্গল সাফারির টানেই পর্যটকরা আলিপুরদুয়ার জেলায় ভিড় জমায়। আর সেই জঙ্গল সাফারি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে কার্যত বন্ধের মুখে আলিপুরদুয়ারের পর্যটনশিল্প।
অন্যদিকে রাজ্যে করোনার প্রকোপ ফের বাড়তে থাকায় লকডাউনের আশংকায় দেশ-বিদেশের পর্যটকরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেক পর্যটক তাঁদের বুকিং বাতিল করে দিয়েছে।
এদিকে নবান্নের নোটিশ পৌঁছাতেই বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলে পর্যটকদের ঢুকতে বারণ করে দিয়েছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
বক্সার জঙ্গলে পর্যটক কেন, একটি মাছিও যাতে গলতে না পারে সেই জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করে বক্সা টাইগার রিজার্ভের কর্তারা।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের এফডি বক্সা টাইগার রিজার্ভে আপাতত পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।আগামী ১৫ ই জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।১৫ ই জানুয়ারির পর ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটির কনভেনর অভিক গুপ্তা বলেন একটি মাত্র নোটিশে এই ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়াতে আমরা বিপাকে পড়েছি।
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে সবে মাত্র পথ চলা শুরু করেছিল জেলার পর্যটন শিল্প। সরকারের আচমকা এই সিদ্ধান্তে ফের মুখ থুবড়ে পড়বে পর্যটন শিল্প।