ধানের জমি থেকে যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার। মালদার গাজোল থানার বৈরগাছি পাচকলম এলাকার ঘটনা। পরিবারের দাবি তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে মেডিক্যালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম চন্দনা মন্ডল (২২)। শনিবার সকালে গ্রামবাসীরা জমিতে চাষ করতে যাচ্ছিল সেই সময় তারা মৃতদেহটি দেখতে পায়। মৃতদেহটির হাত বাঁধা ছিল। একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে শরীরে। গ্রামবাসীদের ধারনা প্রথমে ধর্ষণ তারপর নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে ওই যুবতীকে।
গ্রামবাসীরা গাজল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠায়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের আত্মীয় সরস্বতী মন্ডল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার সময় সে তার দাদার বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরিবারের সদস্যরা মনে করেছে সে তার দাদার বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। এর পরে খবর পাই সরস্বতী সেখানে পৌঁছায় নি। আমরা তার খোঁজখবর শুরু করি।
সকালবেলায় খোঁজার জন্য যখন বাড়ি থেকে বের হচ্ছি। তখন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জমির মধ্যে একটি মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে খবর আসে। আমরা তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে দেখতে পাই অর্ধনগ্ন অবস্থায় সরস্বতীর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় গাজল থানার পুলিশকে। যেভাবে নৃশংস ভাবে তাকে খুন করেছে। অনুমান তাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে এরপর তাকে খুন করে জমিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চরমতম শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। গাজল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়েছিল। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।