ভারত-ভূটান সীমাবর্তী দুর্গম গ্রামগুলিতে আধুনিকতা আনতে উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। গ্রাম থেকে শুরু করে রাস্তা, বনবস্তি, চা-বাগানে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ভারত-ভুটান সীমান্তের বক্সা পাহাড়ের ১৩ টি দূর্গম গ্রাম সহ চা বাগান এবং বনবস্তি গুলোকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিলো আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। বক্সার ১৩ টি দূর্গম গ্রামের পাহাড়ি পথে এবার থেকে রাতেও চলাচল করতে পারবে পাহাড়ি গ্রামের তিনহাজার জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।
দূর্গম পাহাড়ি রাস্তায় লাগানো হবে সৌরবাতি, পর্যটকদের জন্য নির্মান করা হবে কমিউনিটি টয়লেট। টানা কয়েকদিন জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, কালচিনি ব্লকের বিডিও পাহাড়ি গ্রাম গুলো পরিদর্শন করে এই গ্রাম গুলো সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে।
ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্টের মাঠে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য একটি গ্যালারি তৈরির পরিকল্পনা গ্রহন করেছে প্রশাসন। যদিও ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্টের মাঠে গ্যালারি নির্মান করতে, আর্কিওলজিকাল ডিপার্টমেন্ট এবং রাজ্য বনদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন আছে বলে জানা গেছে।
এ ক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ার জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন আর্কিওলজিকাল ডিপার্টমেন্ট এবং বনদফতরের সাথে সমন্বয় রেখেই সমস্ত কাজ করা হবে।
বক্সা পাহাড় এবং ফোর্টে কাজ করতে যে সকল অনুমতির প্রয়োজন তা নিয়েই কাজ করা হবে। তবে বক্সা ফোর্টের মাঠে গ্যালারি নির্মান হলে দেশ, বিদেশের পর্যটকদের কাছে তা যে এক আলাদা আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু হবে তা মেনে নিচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ী মহল।
বক্সা পাহাড়ের পাশাপাশি, কালচিনি ব্লকের চা বাগান এবং বনবস্তি এলাকাতেও উন্নয়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
হাতি, এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের হাত থেকে বনবস্তি এলাকার মানুষকে সুরক্ষা দিতে লাগানো হচ্ছে সৌরবাতি। বনবস্তির রাস্তাঘাট, কালভার্টে, শৌচালয় সমস্ত কিছুই নির্মান করা হবে দূর্গম গ্রাম গুলোতে।
কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বক্সা ফোর্ট সহ ১৩ টি গ্রামে উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সমস্ত কাজ করা হবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা জানান রাজ্য সরকারের নির্দেশে বক্সা ফোর্টের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ধাপে, ধাপে জেলার সমস্ত ব্লকেই এই ধরনের উন্নয়ন কাজ করা হবে।